এটি মূলত ১২ শাওয়াল ১৪৩৫ হি. মক্কার মসজিদে হারামে প্রদত্ত জুমার খুতবার অনুবাদ। এতে নবী ইউনুস ‘আলাইহিস সালামের ঘটনা, তা থেকে গ্রহণীয় শিক্ষা ও উপদেশ, বিশেষত আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকার ক্ষেত্রে কষ্ট সহ্য করা, ধৈর্যধারণ করা এবং সুখে-দুখে সব সমস্যার সমাধানে আল্লাহর অভিমুখী হওয়া ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
হজের কাজ শুরু হয় ইহরাম থেকে, আর শেষ হয় বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে। আবার হজের কাজও তিন প্রকারের। ইফরাদ হজকারী, তামাত্তু হজকারী, কিরান হজকারী। তাই এ প্রবন্ধে আটই যিলহজ থেকে শুরু করে আইয়ামে তাশরীকের শেষ দিন পর্যন্ত কিভাবে হজের কাজগুলো সম্পন্ন করবেন তা সংক্ষিপ্ত অথচ পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।
সালাত দীনের স্তম্ভ। যার সালাত নেই তার দীন নেই। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তুমি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর, যদি না পার তবে বসে, যদি তাও না পার তবে পার্শ্বে।” সুতরাং যে কেউ বসে সালাত আদায় করবে তাকে এতদসংক্রান্ত নিয়মনীতিগুলোও জেনে নেওয়া দরকার। আর তাই এ প্রবন্ধটি লেখা হয়েছে যাতে করে মুসল্লি সঠিক জ্ঞানের উপর থাকে যখন সে যমীনে বসে সালাত আদায় করবে অথবা চেয়ারে বসে সালাত আদায় করবে।
মৃত্যু প্রত্যেক প্রাণীর অনিবার্য পরিণতি। প্রতিটি মানুষেরই মৃতের প্রতি কিছু করণীয় রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, তার উপর জানাযার নামায পড়া ও তার জন্য দো‘আ করা। কিন্তু এমন বহু মানুষ রয়েছে যারা জানাযার সালাতের সঠিক নিয়মটি জানে না। তাতে কি পড়তে হয় তারও জ্ঞান নেই। তাই লেখক এ বুকলেটটি বের করেছেন যাতে করে প্রতিটি মুমিন-মুসলিমের পক্ষে সেগুলো মুখস্থ করা ও আমল করা সহজ হয়।
মানুষের অন্তর কঠোর হওয়ার অর্থই হচ্ছে তার জন্য কঠোর পরিণতি অপেক্ষায় থাকা। কুরআন ও হাদীসে কঠোর হৃদয়ের নিন্দা করা হয়েছে। অনেকেই জানে না অন্তর কেন কঠোর হয়। আলোচ্য প্রবন্ধে অন্তর কঠোর হওয়ার কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে।
মানুষ দু’টি বস্তুকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে না। অনেক মানুষই এমন আছে যারা তাদের সময়ের ব্যাপারে উদাসীন। যদি তারা তাদের সময়কে যিকর, দো‘আ, ইস্তেগফার, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধে কাজে লাগাতো তবে তা তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে প্রভূত কল্যাণ বয়ে আনত। এ প্রবন্ধে অল্প সময়ে কিভাবে অনেক সাওয়াব অর্জন করা যায় তার কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে।
কুরবানী ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। কুরবানীর ইতিহাস ও বিধি-বিধান জানা না থাকলে যে কোনো প্রকার ভুলে পতিত হতে পারে। আলোচ্য প্রবন্ধে কুরবানীর ফযীলত ও বিধি-বিধান সম্পর্কে দলীল-প্রমাণসহ আলোচনা করা হয়েছে।
সাওমের উপকারীতা অপরিসীম। যেমনিভাবে তা ইবাদত, তেমনিভাবে তা অনের রোগ থেকে প্রতিরোধও করে থাকে। আধুনিক ডাক্তারি বিদ্যা তার উপকারীতা তুলে ধরেছে। এ প্রবন্ধে এতদসংক্রান্ত বেশ কিছু আলোচনা স্থান পেয়েছে।
সাওমের উপকারীতার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তা বান্দার জন্য ঢালস্বরূপ। বান্দাকে গুনাহ ও অবাধ্যতা থেকে হেফাযত করে, সাথে সাথে তা সমাজকেও অপরাধমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এ প্রবন্ধে সহীহ হাদীসের আলোকে সাওমের এ মহান তাৎপর্যটি তুলে ধরা হয়েছে।
পৃথিবীতে যত রকমের গুনাহের কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মহান আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার বা শরীক সাব্যস্ত করা। এরপর সবচেয়ে বড় গুনাহ অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা। হন্তারকের জন্য মহান আল্লাহ দুনিয়ায় বড় শাস্তি এবং আখেরাতে তীব্র আযাবের ঘোষণা দিয়েছেন। কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন উদ্ধৃতির আলোকে বক্ষমান নিবন্ধে সে বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে।
নবী-রাসূলদের কাহিনীর মধ্যে অনেক শিক্ষা বিদ্যমান। তা থেকে তারাই শিক্ষা নিতে পারে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা সে শিক্ষা নেওয়ার তাওফীক দান করেন। তাদের কাহিনীতে ফুটে উঠেছে তাওহীদপন্থীদের অবস্থা ও তাদের বিরোধীদের অবস্থান। কিভাবে তাদের কাউকে আল্লাহ নাজাত দিয়েছেন, আর অন্যদের কিভাবে ধ্বংস করেছেন। এ কাহিনীর শিক্ষাগুলো জানার মাধ্যমে যে কোনো লোকের পক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও শাস্তি কোথায় রয়েছে তা জানা সম্ভব হবে। এ প্রবন্ধে সেসব শিক্ষা থেকে কিছু কিছু শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে।
এ প্রবন্ধে রমাদান মাসে আমাদের করনীয় কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সাওম পালনে রয়েছে অপরিসীম সাওয়াব। কিন্তু সঠিকমত সাওম পালম না করলে আমরা সে সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হই। তাই আসুন রমাদানকে কাজে লাগিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের মহাসাফল্য অর্জন করি।
পৃথিবীতে খেলাধুলাকে এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। মানুষের কল্যাণের জন্য ইসলাম কিছু শর্ত সাপেক্ষে খেলাধুলাকে অনুমোদন করে। বরং কিছু খেলাধুলাকে উৎসাহিক ও ছাওয়াবের কাজ হিসেবে গণ্য করে। এ দীর্ঘ নিবন্ধে খেলাধুলা সংক্রান্ত মূলনীতিগুলো কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন উদ্ধৃতির আলোকে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল অতীতের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ নিবন্ধে সে প্রেক্ষাপট সামনে রেখে ইসলামের দৃষ্টিতে ভেজাল পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ এবং ভেজাল মিশিয়ে পণ্য বিক্রিলবদ্ধ উপার্জন অবৈধ সে বিষয়টি সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে।
এটি মূলত ২ সফর ১৪৩৫ হি. মক্কার মসজিদে হারামে প্রদত্ত জুমার খুতবার সংক্ষেপিত অনুবাদ। এতে বলা হয়েছে, শীতকালকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে ইবাদতের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে। এর দীর্ঘ রাতগুলো তাহাজ্জুদ এবং ছোট দিনগুলো সিয়াম পালনের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। এ ছাড়াও শীতকালে করণীয় ও বর্জনীয় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এ খুতবায়।
কুরআনুল কারিম সকল মুসলিমের নিকট অতি প্রিয় ও সম্মানের পাত্র, কিন্তু কুরআন যদি পুরনো কিংবা ব্যবহার অনুপযুগী হয়, তখন তার প্রতি কিভাবে সম্মান প্রদর্শন করব, এটা আমরা অনেকেই জানি না। এ প্রবন্ধে তার উপর আলোচনা করা হয়েছে।