শিয়ারা মিথ্যাচার করে বলে, সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জানাযা পড়েন নি। এ ফতোয়াটিতে তাদের মিথ্যাচারের সমুচিত জবাব দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়েছে।
এ ফতওয়াটিতে সাময়িক বিবাহের বিধান আলোচনা করা হয়েছে। শরী‘আত এ বিবাহকে হারাম ঘোষণা করার পরও কিছু ভ্রান্ত দল ও গোষ্ঠী সেটার চর্চা করে যাচ্ছে। তারা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করার জন্য কুরআনের কোনো কোনো আয়াতকে পেশ করে থাকে। এ ফতওয়াটিতে সেসব সন্দেহের নিরসন করা হয়েছে।
এতে ইসলামের প্রথম খলীফা কে ছিল তা আলোচনা করা হয়েছে। শিয়া সম্প্রদায়ের দাবি আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ইসলামের প্রথম খলীফা, তাদের এ দাবীকে এ ফতোয়ায় খণ্ডন করা হয়েছে।
বর্তমান যুগে রাষ্ট্রের মধ্যে এ প্রথা চালু হয়েছে যে, কোনো রাজা-বাদশাহ বা রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যু হলে ৩ দিন বা তাঁর চেয়েও কম অথবা এর চেয়েও বেশি দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অফিস-আদালত বন্ধ করা এবং পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। উক্ত ফতোয়ায় রাষ্ট্রীয় শোক পালনের শর‘ঈ বিধান কী? তা আলোচনা করা হয়েছে।
উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু জাহেলী যুগে তাঁর কন্যাসন্তানকে জীবিত কবর দিয়েছেন বলে যে ঘটনা উল্লেখ আছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনাটি যে অসত্য উক্ত প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
কুরআনুল কারীম অযু ব্যতীত স্পর্শ করা যাবে-কিনা এ সম্পর্কে আহলে ইলমগণ দ্বিমত পোষণ করেছেন; তবে যারা বলেন অযু ব্যতীত স্পর্শ করা বৈধ নয়, তাদের কথাই অধিক বিশুদ্ধ মনে হয়। এ মর্মে তিনজন শাইখের তিনটি ফাতওয়ার অনুবাদ পেশ করা হলো। ক. শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন বায, খ. প্রফেসর ড. আহমদ ইবন মুহাম্মাদ আল-খলিল ও গ. শাইখ ইবন উসাইমীন রহ. প্রমুখদের ফাতওয়া।
কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত শেষে অনেককে দেখি ‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলেন, অথচ ইসলামি শরিয়তে তার কোনো প্রমাণ নেই, বরং এরূপ বলা বিদআত। এ বিষয়টি অত্র নিবন্ধে প্রমাণসহ পেশ করা হয়েছে।
আল্লাহ্ তা’আলা "كن" শব্দ বললেই যা ইচ্ছা একসঙ্গে সৃষ্টি হয়ে যায়, কিন্তু আদমের ক্ষেত্রে এরূপ করা হয়নি কেন, কেন তাকে বিভিন্নধাপে সৃষ্টি করা হয়েছে? এ ফতোয়ায় তার উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
জনৈক নাস্তিকের প্রশ্ন: “কেন আল্লাহ আদম সৃষ্টির দীর্ঘ বিরতির পর হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন, অথচ তিনি জানতেন আদমের সঙ্গীর প্রয়োজন আছে? যদি তিনি সবকিছু জানেন, তাহলে কেন তাদের দু’জনকে একসঙ্গে সৃষ্টি করেননি”? অত্র ফতোয়ায় তার উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
ফতোয়াটিতে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কর্তৃক তাঁর কোন ছেলেকে কুরবানী দেওয়া হয়েছিল তা প্রমাণসহ তুলে ধরা হয়েছে এবং সাব্যস্ত করা হয়েছে যে যাকে কুরবানী দেওয়া হয়েছিল তিনি হচ্ছেন, ইসমা‘ঈল আলাইহিস সালাম। ইয়াহূদী ও নাসারাদের কর্তৃক ইসহাক আলাইহিস সালাম হওয়ার দাবী এক অসার ও অসত্য দাবী।
জান্নাতে একজন পুরুষের স্ত্রীসহ হূর নারী থাকবে, এ বিষয়টি নিয়ে কোনো এক নারী প্রশ্ন করে বলেছিল যে, এটা তার কাছে ইনসাফপূর্ণ মনে হচ্ছে না, ফতোয়াটি তারই উত্তর।
প্রশ্ন : মীলাদুন্নবীর মিষ্টি খাওয়া কি হারাম, মাহফিলের আগের দিন, পরের দিন এবং মাহফিলের দিন, এ উপলক্ষে মিষ্টি খরিদ করার বিধান কী ? কারণ ইদানিং এর প্রচল দেখছি, আশা করছি উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।
এ ফতোয়ায় এক প্রশ্নের উত্তরে মীলাদুন্নবী উপলক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা করার হুকুম বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন কোন ব্যক্তির নিজ পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের নিকট থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক দরূদ পাঠ জমা করা, অথবা মাদরাসার কোন ছাত্রের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারের কাছে ১০০০ (এক হাজার) অথবা তার চেয়ে অধিক সংখ্যক দরূদ পাঠের অনুরোধ করা। এভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন দরূদ জমা হয়। এসব অনুষ্ঠানে যোগদান করার বিধান কী ? এভাবে দরূদ জমা করার বিধান কী ?