সমাজ সংস্কারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ: সমাজ সংস্কারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যায়ক্রমিকতার নীতি অবলম্বন করে চলেছেন। কেননা তাৎক্ষণিক কোনো কার্যক্রম চালিয়ে সমাজ সংস্কার অসম্ভব ব্যাপার। এর জন্য বরং প্রয়োজন পরিকল্পিত সার্বক্ষণিক মেহনত, কর্মতৎপরতা। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এবিষয়টিকেই শিল্পিত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সবাই আদম সন্তান আর আদমকে বানানো হয়েছে মাটি দ্বারা। সুতরাং মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই। হ্যাঁ যে মানুষ মানবতাবোধের অধিক মর্যাদা দিয়ে মানব তথা সৃষ্টির সেবার মাধ্যমে মহান স্রষ্টার নির্দেশ অধিক পালন করবে, সে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী হবে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ যাতে লেখক আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতে দৃষ্টিতে এবিষয়ক আকিদার দালিলিক উপস্থাপনের প্রয়াস পেয়েছেন। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আকিদা অনুযায়ী আল্লাহ আরশের উপরে আছেন এবং তাঁর আরশ হল আকাশের উপর।
জামাআতে সালাতের গুরুত্ব ; প্রেক্ষিত বর্তমান সমাজ : জামাআতে সালাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কুরআন ও হাদীসে জামাআতে সালাত আদায়ের বর্ণনা কিভাবে এসেছে-জামাআতে সালাত আদায়ের গুরুত্ব ও ফযীলত কি, জামাআতভূক্তিতে সালাতের ব্যাপারে সালফে সালেহীনের আচরণ কিরূপ ছিল-রচনাটি ইত্যাদি বিষয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রাণবন্ত আলেখ্য হতে পারে।
মসজিবিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। মসজদের মিশন, দাওয়াত, তারবিয়ত ও কল্যাণমূলক যেসব কার্যক্রমের ক্ষেত্রে, একটি আদর্শ মসজিদকে যেভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে তারই একটা রূপরেখা টানার চেষ্টা করা হয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে।
এ প্রবন্ধে অমুসলিমদের প্রতি মুসলিমদের আচরণ কি ধরনের হওয়া উচিত তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বর্ণনা করা হয়েছে। সাথে সাথে তাদের প্রতি মুসলিমদের দায়িত্ব-কর্তব্য আলোচনা করা হয়েছে।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে নেক আমলের প্রতি যত্ন, সর্বাবস্থায় নেক আমল ধরে রাখার গুরুত্ব ও আবশ্যকতা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রবন্ধে সন্নিবেশিত প্রতিটি আয়াত ও হাদীসে-থাকা আহকাম ও মাসায়েলগুলোও সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
মসজিদ হবে সব কল্যাণের স্রোতস্বিনী: মসজিবিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। মসজদের মিশন, দাওয়াত, তারবিয়ত ও কল্যাণমূলক যেসব কার্যক্রমের ক্ষেত্রে, একটি আদর্শ মসজিদকে যেভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে তারই একটা রূপরেখা টানার চেষ্টা করা হয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে।
যে কয়েকটি কুস্বভাব সরাসরি কুরআন হাদীসে নিন্দা করা হয়েছে গীবত বা পরচর্চা তার মাঝে অন্যতম। কুরআনে একে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে কুরআন ও হাদীসের আলোকে গীবতের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আত্মমর্যাদাবোধ হারিয়ে ফেলা মুনাফিকের আলামত। একজন মুনাফিক এ গুণটি হারানোর কারণে অশালীন কাজ-কর্ম, যিনা ও অশ্লীলতা ছড়ানো পছন্দ করে। প্রবন্ধে বিষয় সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
আল্লাহ প্রদত্ত শরিয়া আঁকড়ে ধরা, আল কুরআন ও সুন্নাহর যথার্থ অনুসরণ ইত্যাদির প্রতি নারীকে উৎসাহ প্রদানই আলোচ্য প্রবন্ধের লক্ষ্য। আল্লাহর নির্দেশর বলয় থেকে বের হয়ে যাওয়া ও পাপ-গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পরিণতি কী সে ব্যাপারেও উক্ত প্রবন্ধে আলোচনা উঠে এসেছে।
পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব ক্ষণস্থায়ী। পৃথিবী বক্ষে মানুষের জীবনপরিসর কেবলই ঈমান ও আমলের পরীক্ষার উদ্দেশে প্রদত্ত। মানুষকে তাই খুব হিসেবী হতে হবে সময় যাপনে। আকীদা ও আমলের যথার্থ অনুশীলনের মাধ্যমে জীবনকে করে তুলতে হবে অর্থবহ, আল্লাহর মাগফিরাত ও পরকালীন শাশ্বত জান্নাতের উপযোগী। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
হৃদয়সংলগ্ন আমলবিষয়ক আলোচনা সকলযুগেই আলেমগণের গুরুত্বের বিষয় ছিল। এ-ক্ষেত্রে বহু গ্রন্থ রয়েছে। হৃদয়সংলগ্ন আমল শ্রম ও বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে একজন মুসলমানের জন্য প্রয়োজনীয় এ-জাতীয় ৩০টি আমল বর্ণনা করা হয়েছে।
মানবজীবনে সময়ের গুরুত্ব খুব চমৎকারভাবে বিশ্লিষ্ট হয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে। সময়ই জীবন, অতঃপর যে ব্যক্তি তা অবহেলায় কাটালো সে জীবনকেই ধ্বংস করল, আর যে ব্যক্তি তা ইহ-পরকালীন কল্যাণে ব্যয় করল সে সফলকাম হল।
আলোচ্য প্রবন্ধে মেয়েদের জন্য হিজাবের গুরুত্ব ও হিজাব পরিত্যাগ করে ব্যক্তি ও সমাজের কি ক্ষতি হচ্ছে তা আলোচনা করা হয়েছে কুরআন, সুন্নাহ ও বাস্তব ঘটনাবলির আলোকে।