একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ যাতে আলোচিত হয়েছে ইসলামে মানবাধিকারের আদর্শিক ভিত্তি,বিভিন্ন জাতির মানবাধিকার বিষয়ক ধারণার ক্রমোন্নতি,মানাবধিকারের ক্ষেত্রে মানুষের দেয়া থিউরিসমূহের ত্রুটি ও এ ক্ষেত্র ইসলামি ভাবধারার পূর্ণাঙ্গতা,ভারসাম্য ও জীবন ও জগতের স্বচ্ছ প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণতা।
বিশ্বাসের উপকরণ-প্রকরণ-ধারা, প্রায়োগিক জীবন, মৌলিকতা, মধ্যপন্থা, ভারসাম্য, শৃঙ্খলা ইত্যাদি ইসলামকে করেছে অনন্য এক জীবনদর্শন। বর্তমান প্রবন্ধে সংক্ষেপে এ বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে।
ঈমান- আল্লাহ ও তাঁর বান্দার মাঝে এক কঠিন ওয়াদা, যার প্রধান দাবি হলো, মানুষ তার নিজের চাওয়া-পাওয়া, প্রবৃত্তির কামনা-বাসনা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনিত আদর্শের অনুগত করে নেবে। সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যকে তার জীবনের বৃহত্তম প্রকল্প হিসেবে সাব্যস্ত করবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধের আলোচনা এ বিষয়কে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে।
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন শেষ নবী ও রাসূল। তিনি প্রেরিত হয়েছেন জগৎবাসীর জন্য আদর্শ ও রহমত হিসেবে। তাঁর আবির্ভাবের সময় থেকে কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বাস ও আচরণের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র তাঁকেই অনুসরণ করে চলতে হবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি এসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই সাজানো।
মুসলমান-অমুসলমান সম্পর্কের সীমা: একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। মুসলমান-অমুসলমান সম্পর্কের সীমা ও আকার-প্রকৃতি নির্ধারণ, ইসলাম ও মুসলমানের উপর মুসলিমের সাথে অবৈধ-প্রকৃতির বন্ধুত্ব জড়িয়ে যাওয়ার অশুভ পরিণতি কিছু চিত্র উপস্থাপন ইত্যাদিকে করেই সাজানো হয়েছে বক্ষ্যমাণ এই প্রবন্ধটি।
ইসলাম আত্মা ও শরীরের মাঝে ভারসাম্য কায়েম করে। সকল ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা ও ইনসাফ ধরে রাখে। ইসলাম জড়জগতের বাইরে কিছু অদৃশ্য বিষয়ের প্রতি ঈমান আনতে বলে এবং দুনিয়ার জীবনকে আখেরাতের শস্যক্ষেত্র বলে আখ্যায়িত করে। জড়বাদ হচ্ছে সম্পূর্ণ এর উল্টো একটি বিষয় যা জড়পদার্থ এবং যা কিছু জড়বাদী অভিজ্ঞতা-পরীক্ষা নিরীক্ষার আওতায় আসে তা ভিন্ন অন্য কিছুর প্রতি বিশ্বাস করে না। তাই জড়বাদী দর্শনকেন্দ্রিক গড়ে ওঠে যে-জীবন তা হল উদ্দেশ্যবিহীন জীবন। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টিকেই পরিষ্কার করা হয়েছে।
বর্তমানযুগে মুসলিমবিশ্বে এমন অনেক যুবা ও তরুণ রয়েছে যারা আধুনিক বস্তুবাদী সভ্যতার সন্তানদের অনুকরণ-অনুসরণ, বিশেষ করে তাদের স্থূল চাকচিক্যময় জীবন,খেল-তামাশা ইত্যাদির অনুসরণ করে নিজেদেরকে মর্যাবান করছে বলে ভাবছে। অথচ তারা নিজেদের প্রকৃত মর্যাদা ও সম্মান ইসলাম ব্যতীত কোথাও খুঁজে পাবে না। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টির প্রতিই আলোকপাত হয়েছে।
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন শেষ নবী ও রাসূল। তিনি প্রেরিত হয়েছেন জগৎবাসীর জন্য আদর্শ ও রহমত হিসেবে। তাঁর আবির্ভাবের সময় থেকে কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বাস ও আচরণের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র তাঁকেই অনুসরণ করে চলতে হবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি এসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই সাজানো।
ইসলাম তার জন্মলগ্ন থেকেই নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূল পরিবেশে মুখোমুখি হয়ে আসছে। তবে সকল ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে ইসলাম এগিয়ে গেছে বিজয়ী বেশে, মাথা উঁচু করে। বর্তমান প্রবন্ধে ইসলামের এই শাশ্বত বিজয়কেই সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে।
লক্ষ্য মানুষের জীবনের গতি নির্ধারক। লক্ষ্য মানুষকে দেয় সফল হওয়ার প্রেরণা। মরিয়া হয়ে চেষ্টা-সাধনা করার আকাঙ্ক্ষা। আর লক্ষ্য যত বড় হবে ত্যাগ ও তিতিক্ষাও সে অনুপাতে বেড়ে যাবে। কর্মচাঞ্চল্য বেড়ে যাবে। অর্জন হবে অভীষ্ট সফলতা যদি কেউ নিজেকে পরিষ্কার ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাঝে দৃঢ়তার সাথে ধরে রাখে। বর্তমান প্রবন্ধে একজন মুসলমানের জীবনে লক্ষ্য কি হওয়া উচিত এবং কিভাবে তা নির্ধারণ করতে হবে তাই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ইসলামে দাস প্রথা, ইতিহাসে দাস প্রথা শুরুর কাহিনী, সে সময় ইসলাম কর্তৃক দাস প্রথা বহাল রাখার কিছু ঐতিহাসিক ও বিজ্ঞানসম্মত কারণ। দাসমুক্তি তরান্বিত করার জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ ইত্যাদি নিয়ে বর্তমান প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
ঈমানদার ব্যক্তিরাই প্রকৃত প্রগতিশীল;কেননা মুমিন ব্যক্তি এমন কিছু গুণ ও বৈশিষ্ট্যে সিদ্ধ থাকে যা তাকে প্রকৃত অর্থেই প্রগতিশীল না করে পারে না। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে ইসলামের দৃষ্টিতে প্রগতিশীলতার সংজ্ঞা ও একজন মুমিন কিভাবে প্রগতিশীল হতে পারে তা নিয়েই আলোচনা পেশ করা হয়েছে।
বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর কাছে সমঅধিকারের যে ধারণা রয়েছে তা সংক্ষেপে তুলে ধরে ইসলামে সমঅধিকার ধারণার সামহিকতা, সামগ্রিকতা, শীর্ষতা ও ভারসাম্য বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছ বর্তমান এ প্রবন্ধে।