মসজিদে নববীতে সালাত আদায়ের উদ্দেশে মদিনা মুনাওয়ারায় সফর করা একটি শরিয়ত-সিদ্ধ বিষয়। মসজিদে নববীতে সালাত আদায়ের সওয়াব একহাজার গুণ বেশি, এ কথা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। মদিনায় গমনের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র কবরে সালাম করাও শরিয়ত-সিদ্ধ। তবে অনেকেই রাসূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারতের উদ্দেশেই মদিনায় সফর করে থাকেন যা হাদিস অনুযায়ী শুদ্ধ নয়। মদিনার যিয়ারত কীভাবে বিশুদ্ধভাবে আদায় করা সম্ভব হবে সে ব্যাপারেই এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস : আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস : আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বান্দার কাছে প্রাপ্য আল্লাহর প্রধানতম অধিকার। এ অধিকারের যথাযথ প্রতিফলন ব্যতীত বান্দার কোন আমলই গ্রহনযোগ্যতা পাবে না। এই প্রবন্ধে সংক্ষিপ্ত আকারে বিষয়টি আলোচনা করা হল ।
ইখলাসপূর্ণ ইবাদত : ইখলাসপূর্ণ ইবাদত বান্দার কাছে আল্লাহর প্রাপ্য একটি অধিকার। সকল ইবাদত-আরাধনা অদ্বিতীয় আল্লাহর জন্যই নিবেদিত হতে হবে এ-বিষয়টি তাওহীদের মূল দাবি। ইখলাসপূর্ণ ইবাদত প্রব্ন্ধনে সংক্ষেপে এই বিষয়টির নান্দনিক উপস্থাপন হয়েছে বলে বিশ্বাস ।
আল্লাহর অস্তিত্ব ও আধুনিক বিজ্ঞান : আল্লাহর অস্তিত্ব ও আধুনিক বিজ্ঞান: বিজ্ঞান আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না। বরং তা প্রতিষ্ঠিত করে আধুনিক যুক্তিবাদের কঠিন নিয়মবদ্ধতার ধারা- উপধারাগুলো যথার্থভাবে অনুসরণ করেই। পরোক্ষ প্রমাণপদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের একটি স্বীকৃত ফরমুলা যার প্রয়োগ দেখা যায় বৈজ্ঞানিক আবিস্কারের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। আল্লাহর অস্তিত্বও এই পরোক্ষ প্রমাণপ্রদ্ধতির আলোকে সুপ্রতিষ্ঠিত।
সংক্ষিপ্ত অথচ তথ্যসমৃদ্ধ এ প্রবন্ধটি ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতায় নারীর অবস্থান বিষয়ে একটি সফল রচনা বলা যায়। বস্তুনিষ্ঠভাবে রচনাটি অধ্যায়ন করলে ইসলামী আদর্শই যে নারীর জন্য কল্যাণকর তা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে দৃষ্টিগ্রহ্য হবে বলে বিশ্বাস।
জাহেলী যুগে নারীকে নিকৃষ্ট বস্তু মনে করা হত, সে যুগে কেউ পবিত্র থাকতে হলে নারী থেকে দুরে থাকতে হত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই সর্বপ্রথম নারীর প্রকৃত অধিকার দান করেছেন এবং একথা ছাবেত করেছেন যে, শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী নারীর সাথে সম্পর্ক রাখা পবিত্রতার বিপরীত নয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে বিষয়টি সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে।
জেন্ডার সাম্যের ধারণা আধুনিক সভ্যতায় প্রচার পেয়েছে বর্ণনাতীতভাবে। জেন্ডার ইকুয়ালিটির মানে নারী-পুরুষ সকল দিক থেকে, অভিন্নভাবে একে অন্যের সমান, Equal| যে নারী সেই পুরুষ, আর যে পুরুষ সেই নারী, এ ধারণা কতটুকু বিজ্ঞানসম্মত ও ইসলাম-সমর্থিত তাই আলোচনা হয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটিতে।
রোজা : রোজা ইসলামের এক শ্বাশত বিধান, যা মানুষের জৈবিক ও আধ্যাত্মিক নানা অনুষঙ্গে ঋজুতা সঞ্চার করে মানসিক ও শারীরিকভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে তোলে। রোজার এ বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ লাভের অন্যতম শর্ত হচ্ছে রোজার তাৎপর্য ও মাহাত্ম সঠিক উপায়ে উপলব্ধি করা এবং তদনুসারে আমলে ব্রতী হওয়া। বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে রোজার মাহাত্ম, তাৎপর্য ও বিধি-বিধান বর্ণনার প্রয়াস চালান হয়েছে।
আল কুরআন ও বিজ্ঞানে ভ্রুণের ক্রমবর্ধন ও মানুষের সৃষ্টি রহস্য: একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রন্ধ। ভ্রুণের সৃষ্টি ও ক্রমবর্ধনের পর্যায় বর্ণায় আল কুরআনের স্পষ্ট বক্তব্যমালা এবং আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারসমূহের তুলনামূলক আলোচনা স্থান পেয়েছে আজকের এ প্রবন্ধে।
দাম্পত্যজীবন, ইসলামি ভাবধারার আওতায়, কিছু উন্নত আদর্শ-প্রিনসিপলের উপর প্রতিষ্ঠিত, যার মাধ্যমে অর্জিত হয় আল্লাহ কর্তৃক নির্দিষ্ট করে-দেয়া পবিত্র কিছু উদ্দেশ্য। বর্তমান প্রবন্ধ এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই।
এ নিবন্ধে রজব মাস ও তাতে রোজার ফজিলত সম্পর্কে প্রচলিত বিভিন্ন হাদিসের শুদ্ধতা ও অশুদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে প্রতীয়মান হয় যে, রজব সংক্রান্ত কিছু হাদিস রয়েছে জয়িফ আর কিছু রযেছে জাল, যার ওপর আমল করা দুরস্ত হবে না।
এটা ধারণ করা ভুল হবে যে একজন ইমামের দায়িত্ব কেবল নামাজে ইমামতি পর্যন্তই সীমিত। ইমামকে বরং পালন করতে হবে দাওয়া-তালিম-তরবিয়, মানুষের চরিত্রগঠন, মসজিদকেন্দ্রিক সমাজগঠন, ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে।
একজন সফল গার্ডিয়ানের কিছু মৌলিক গুণাবলি রয়েছে যা অর্জিত হলে ছেলেমেয়ে ও পোষ্যদেরকে, মননে-আখালাকে-চরিত্রে যথার্থরূপে বড় করে তোলা অনেকটাই সম্ভব হয়ে ওঠে। বর্তমান প্রবন্ধে এগুণগুলো সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে।
সন্তান ইমান ও তাকওয়ায় বলিষ্ঠ হয়ে বড় হবে। নিজের, পরিবার পরিজনের, সমাজের ও রাষ্ট্রের কল্যাণে তার যোগ্যতা ব্যয় হবে, উপরন্তু পরকালের মুক্তি ও কল্যাণের উদ্দেশে সর্বশক্তি নিয়োজিত করে কাজ করে যাবে, এ ধরনের আকাঙ্ক্ষা প্রতিটি মুমিন পিতার থাকাটা স্বাভাবিক। তবে এ-প্রকৃতির সন্তান অর্জনের জন্য প্রয়োজন সালেহা বা সতী-সাধ্বী নারীর, যিনি তার সন্তানদের সুশিক্ষিত, আদর্শমান করে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতায় সিদ্ধ। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
ইলম অর্জন, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা লাভ, ইহ ও পরকালীন কল্যাণের পথ পথান্তর বিষয়ে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা অর্জন শিশুর একটি মৌলিক অধিকার। এ অধিকার প্রদানে, এ বিষয়ে শিশুর যথাযথ পরিচর্যায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্থাপন করেছেন সর্বোচ্চ আদর্শ। আমাদের সালাফে সালেহীনগণও এক্ষেত্রে রেখেছেন উজ্জ্বল উদাহরণ। বর্তমান প্রবন্ধে এ বিষয়টির ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।