ইদানীং বিশ্ব জুড়ে, এমনকি মুসলিমদের মাঝেও ইসলামকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ তা এক ভয়ঙ্কর অপরাধ, যা ব্যক্তিকে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের করে দেয় এবং জাহান্নামকে তার ঠিকানা বানিয়ে দেয়। এ নিবন্ধে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলাম নিয়ে বিদ্রূপের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রবন্ধকার কুরআনুল কারীমের বর্ণনার আলোকে নূহ আলাইহিস সালামের পরিচয় এবং কিভাবে তিনি দাওয়াত দিয়েছেন তা তুলে ধরেছেন। আর তার জাতি তার দাও‘য়াতের জবাবে কি করেছিল তাও বর্ণিত হয়েছে।
এ প্রবন্ধে মানুষের উপর কুরআনের যে সকল অধিকার রয়েছে তা বিস্তারিত বিবৃত হয়েছে। বিশেষ করে কুরআন পাঠ করা, অধ্যয়ন করা, কুরআনের নির্দেশ পালন ও নিষেধ থেকে দূরে অবস্থান। আর কুরআনের অধিকার সম্পর্কে অসচেতনতার কুফল বর্ণিত হয়েছে।
প্রবন্ধটিতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসার মানদণ্ড উল্লেখ করা হয়েছে। সাথে সাথে কি কি কারণে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ভালবাসার দাবী মিথ্যা হয়, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে।
যে ধর্মের নামেই রয়েছে শান্তির সুবাস, যে ধর্মের নবীকেই প্রেরণ করা হয়েছে জগতবাসীর জন্য শান্তি ও রহমত স্বরূপ, সে ধর্ম সম্পর্কে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের অভিযোগ তোলা হয় একান্তই বিদ্বেষপ্রসূতভাবে। ইসলাম বিদ্বেষী ভাইদের অপ্রচারে যাতে সরলমনা মুসলিম ভাই-বোনেরা বিভ্রান্ত না হন, তাই পবিত্র কুরআনে এদু’টি শব্দ কতভাবে এসেছে তা আলোচনা করে এ ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরার প্রয়াস চেষ্টা করা হয়েছে এ নিবন্ধে ।
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ যাতে আলোচিত হয়েছে ইসলামে মানবাধিকারের আদর্শিক ভিত্তি,বিভিন্ন জাতির মানবাধিকার বিষয়ক ধারণার ক্রমোন্নতি,মানাবধিকারের ক্ষেত্রে মানুষের দেয়া থিউরিসমূহের ত্রুটি ও এ ক্ষেত্র ইসলামি ভাবধারার পূর্ণাঙ্গতা,ভারসাম্য ও জীবন ও জগতের স্বচ্ছ প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণতা।
বিশ্বাসের উপকরণ-প্রকরণ-ধারা, প্রায়োগিক জীবন, মৌলিকতা, মধ্যপন্থা, ভারসাম্য, শৃঙ্খলা ইত্যাদি ইসলামকে করেছে অনন্য এক জীবনদর্শন। বর্তমান প্রবন্ধে সংক্ষেপে এ বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে।
ঈমান- আল্লাহ ও তাঁর বান্দার মাঝে এক কঠিন ওয়াদা, যার প্রধান দাবি হলো, মানুষ তার নিজের চাওয়া-পাওয়া, প্রবৃত্তির কামনা-বাসনা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনিত আদর্শের অনুগত করে নেবে। সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যকে তার জীবনের বৃহত্তম প্রকল্প হিসেবে সাব্যস্ত করবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধের আলোচনা এ বিষয়কে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে।
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন শেষ নবী ও রাসূল। তিনি প্রেরিত হয়েছেন জগৎবাসীর জন্য আদর্শ ও রহমত হিসেবে। তাঁর আবির্ভাবের সময় থেকে কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বাস ও আচরণের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র তাঁকেই অনুসরণ করে চলতে হবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি এসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই সাজানো।
সমাজ সংস্কারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ: সমাজ সংস্কারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যায়ক্রমিকতার নীতি অবলম্বন করে চলেছেন। কেননা তাৎক্ষণিক কোনো কার্যক্রম চালিয়ে সমাজ সংস্কার অসম্ভব ব্যাপার। এর জন্য বরং প্রয়োজন পরিকল্পিত সার্বক্ষণিক মেহনত, কর্মতৎপরতা। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এবিষয়টিকেই শিল্পিত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে : ১- আল্লাহ তাআলার জন্য দীনকে খালেছ করা ২- দুনিয়া ও আখেরাতের আজাব থেকে একমাত্র মুমিনরাই নিরাপদ থাকবে। ৩- ইবলিসের চক্রান্ত থেকে তারাই হেফাজতে থাকে।
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সবাই আদম সন্তান আর আদমকে বানানো হয়েছে মাটি দ্বারা। সুতরাং মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই। হ্যাঁ যে মানুষ মানবতাবোধের অধিক মর্যাদা দিয়ে মানব তথা সৃষ্টির সেবার মাধ্যমে মহান স্রষ্টার নির্দেশ অধিক পালন করবে, সে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী হবে।
এমন কিছু আমল আছে, যার কোনো একটিও যদি কোনো মুসলিম সম্পাদন করে তবে সে দীন থেকে বের হয়ে গেছে বলে বিবেচিত হবে। ফলে তার সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে এবং চিরস্থায়ীভাবে (জাহান্নামের) আগুনে প্রবেশ করবে। সেসব গুনাহ মহান আল্লাহ তাওবা ব্যতীত ক্ষমা করেন না। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আমলগুলো সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে।
লওহ-কলমে বিশ্বাস এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকীদা: বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে লওহ-কলমের প্রতি ইমানের ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকীদার নানা দিক বিশ্লিষ্ট আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে। প্রবন্ধটি, সে হিসেবে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যে কয়েকটি কুস্বভাব সরাসরি কুরআন হাদীসে নিন্দা করা হয়েছে গীবত বা পরচর্চা তার মাঝে অন্যতম। কুরআনে একে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে কুরআন ও হাদীসের আলোকে গীবতের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।