সৎকর্ম ও আনুগত্যের ফযিলত এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি

এ গ্রন্থে আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব, ফযিলত, লাভ, আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখার কারণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিণতি, আত্মীয়তা সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণ, মাতা-পিতার সাথে ভালো ব্যবহার করা, প্রতি-বেশিদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখা, তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা ইত্যাদি বিষয়গুলো খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

সহীহ দলীলকে ভিত্তি করে রমযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল জানার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বই। মুসলিমদের জন্য রমযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এতে একজন মুসলিম রমযান মাসকে কিভাবে ফলপ্রসূ করবে তার মাসআলা-মাসায়েল ও ফাযায়েল সংক্রান্ত যে সকল বিষয়াদির প্রয়োজন অনুভব করে সেগুলো খুব সুন্দরভাবে আলোচিত হয়েছে।

ফাযায়েলে আমাল বিষয়ে যেমন নানা পুণ্যকর্মের বিবরণ সম্বলিত বই আমরা পড়ে থাকি, তেমনি রাযায়েলে আমাল তথা পাপকর্মসমূহের বিবরণ নিয়ে এই গ্রন্থ। আমরা অহরহ যেসব জঘণ্য পাপকাজ করি এ গ্রন্থে সেসবের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে কুরআন-সুন্নাহের আলোকে।

পুস্তিকাটিতে লেখক সালামের ফজিলত, সালাম দেয়ার পদ্ধতি, সালামের প্রসার, সালামের বিধি-বিধান, বার বার সালাম দেয়া, ঘরে প্রবেশ করে সালাম দেয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো কুরআন ও হাদিসের দলীল প্রমাণ সহকারে আলোচনা করেছেন। এছাড়াও রয়েছে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ও পরিচিত নারীদেরকে সালাম দেয়ার বিধান।

গ্রন্থটিতে লেখক দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যিকিরসমূহ, নামাযের বিভিন্ন মাসআলা ও আরও কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়াদি উল্লেখ করেছেন।

‘আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় আমল’ এ রিসালাটিতে লেখিকা আল্লাহর নিকট কোন কোন আমল অধিক প্রিয় তা কুরআন ও হাদিসের আলোকে উল্লেখ করেন।

যেসব পাপ ও গুনাহের মূল কারণ জিভ, অথবা জিভ দ্বারা যেসব পাপ প্রকাশ পায়, লেখক এ বইয়ে তার বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

এ বইয়ে লেখক সাজ-সজ্জা ও সুগন্ধি গ্রহণ করার ইসলামী পদ্ধতি ও সীমারেখা, প্রাকৃতিক প্রয়োজন যেমন পানাহার ও পেশাব-পায়খানার ইসলামী আদব, মসজিদে যাওয়ার আদব, সফরের আদব, রাস্তার হক, অপরের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি প্রার্থনা, সালামের আদব, দেখা-সাক্ষাত করার আদব, রোগী দেখার আদব, মেহমানদারি ও বন্ধুত্বের আদব, মসলিজের আদব, শয়ন নিদ্রা যাপনের আদব, অমুসলিমদের সাথে সদ্ব্যবহার, জীব-জন্তুর সাথে আচরণ এবং সর্বোপরি একজন আল্লাহ-ভীরু মুসলিম ইবাদতকারীর প্রাত্যহিক আদব-আমল ও জীবন-ধারা কেমন হবে তার ওপর বিশদ আলোচনা করেছেন।

এ নিবন্ধে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মানবসেবা ও সমাজকল্যাণে এগিয়ে আসার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। খ্রিস্টান মিশনারি তৎপরতার মোকাবেলায় ইসলামভিত্তিক এনজিও প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তাও ব্যক্ত হয়েছে এতে।

লেখক এ নিবন্ধে রাত-দিন সৃষ্টির হিকমত, তাতে বিদ্যমান আল্লাহর আশ্চর্য কুদরত এবং রাতে দ্রুত ঘুমানোর উপকারিতা ও দেরিতে ঘুমানোর অপকারিতা বর্ণনা করেছেন। আরো বর্ণনা করেছেন দিনে বিশেষ করে ফজর ও আসরের পর ঘুমানোর ক্ষতি এবং ঘুম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ তিনি তুলে ধরেছেন।। ইনশাআল্লাহ পাঠকবর্গ এর দ্বারা উপকৃত হবেন।

প্রবন্ধকার এখানে কুরআন শিক্ষার বিধান, পদ্ধতি ও ফযিলত সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন, সাথে সাথে কুরআন না শিক্ষা করার পরিণতিও তুলে ধরেছেন।

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস : শিক্ষা ও মাসায়েল, লেখক বলেছেন: “সিয়াম, ইতিকাফ, রমযানের কিয়াম ও লাইলাতুল কদর ইত্যাদি বিষয়ে ষাটটি দরস তৈরি করেছি, যা থেকে বিশেষভাবে দীনের দাঈ‘ ও মসজিদের ইমামগণ এবং সাধারণভাবে সকল মুসলিম উপকৃত হবেন, ইনশাআল্লাহ। প্রত্যেক দরসের ভিত্তি রেখেছি কুরআন ও হাদীসের ওপর, যদি শিরোনামের অনুকূলে কোনো আয়াত পেয়েছি, তাহলে তা উল্লেখ করেছি, অতঃপর হাদীস উল্লেখ করেছি। আর শিরোনামের অনুকূলে কোনো আয়াত না থাকলে সরাসরি উক্ত বিষয়ের হাদীস উল্লেখ করেছি। হাদীস বাছাই করার ক্ষেত্রে দলীল হিসেবে পেশ করার উপযুক্ত সহীহ ও হাসান হাদীসগুলো নির্বাচন করেছি, দুর্বল হাদীস এড়িয়ে গেছি। আল্লাহ সবাইকে এর দ্বারা উপকৃত হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।

আলোচ্য রচনায় আল-কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রামাদান মাসে একজন মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

প্রবন্ধটিতে মসজিদের ইমামদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আলোচনা করা হয়েছে। আর মসজিদে কী কী কার্যক্রম ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মসজিদের হক্ব আদায় করা যায় ও সমাজ সংশোধন করা যায়— তাও বর্ণিত হয়েছে। গ্রন্থটি সংকলন করেছেন ‘আবদুল হামীদ আল-হামদান’।

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা: স্বপ্নের সংজ্ঞায়ন, স্বপ্নের প্রকার, কীভাবে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে হয়, ব্যক্তির জীবনে স্বপ্ন-ব্যাখ্যার প্রভাব ইত্যাদি বিষয় কুরআন সুন্নাহর আলোকে তুলে ধরা হয়েছে বর্তমান গ্রন্থে ।

সৎ কাজ সম্পাদনে শ্রম-সাধনা ও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ও আদর্শ ব্যক্তি গঠনে এর ভূমিকা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা স্থান পেয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে।

ইয়াতীমের দায়িত্বগ্রহণ ও লালন সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে একটি হল, "আমি ও ইয়াতীম লালনকারী জান্নাতে এই দুয়ের মতো।" তিনি তর্জনী ও মধ্যমা দিয়ে ইশারা করলেন, এবং এদুটির মাঝে সামান্য ফাঁক রাখলেন। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে ইয়াতীম লালনের ফজিলত, গুরুত্ব এবং ইয়াতীম ও তার লালনকারীর জীবনে এর ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

মোবাইল ব্যবহারের মূলনীতি: একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। ইসলামের দৃষ্টিতে মোবাইলের বৈধ ও সঠিক ব্যবহার, মোবাইল ব্যবহারের শরয়ি মূলনীতি খুবই গুরুত্বসহ স্থান পেয়েছে অত্র গ্রন্থে। মোবাইলে কথা বলার আদব-কায়দা, বৈধতা ও অবৈধতার সীমানা ইত্যাদি বিষয় কুরআন-সুন্নাহর দালিলিক ভিত্তিভূমে দাঁড় করানোর প্রয়াস পেয়েছেন প্রাজ্ঞ লেখক খুব চমৎকারভাবে। বইটি সবার জন্য অবশ্যপাঠ্য বলে মনে করি।

জান্নাতের পথে : বইটিতে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার বিভিন্ন আমলের ব্যাখ্যা ও তার ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে।আল্লাহর অপার রহমত ও ক্ষমা প্রাপ্তি এবং জান্নাতের বিভিন্ন নেয়ামত প্রসঙ্গেও বইটিতে আলোচনা রয়েছে।

মাতাপিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা স্থান পেয়েছে আলোচ্য বইটিতে। আশা করি পাঠক মাত্রই উপকৃত হবেন।