- শ্রেণিবিন্যাস বৃক্ষ (চিত্র বা ছক)
- আল-কুরআন ও তার বিভিন্ন জ্ঞান-শাস্ত্র
- সুন্নাহ ও তার বিভিন্ন শাস্ত্র
- আকীদা
- তাওহীদ
- ইবাদাত
- দাওয়াহ ও ইসলামী সংস্কৃতি
- ঈমান
- ঈমানের বিবিধ মাসআলা
- আল-ইহসান
- আল-কুফর/কুফরী
- নিফাক/মুনাফেকী
- শির্ক
- বিদ‘আত
- সাহাবীগণ ও নবী পরিবার
- ওসিলা গ্রহণ
- ওলী ও তাদের কেরামত
- জিন ও জাদু-টোনা
- জিন্
- সম্পর্ক স্থাপন ও সম্পর্কচ্ছেদ
- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত
- বিভিন্ন ধর্মমত ও দ্বীন
- বিভিন্ন ফির্কা, মতবাদ ও ধর্ম
- ইসলামের দাবীদার বিভিন্ন ফিরকা ও উপদল
- আধুনিক বুদ্ধিবৃত্তিক মতবাদসমূহ
- ফিকহ ও এর নানা শাস্ত্র
- ইবাদাতের ফিকহ
- ফিকহুল মু‘আমালাত বা অর্থনৈতিক লেন-দেন বিষয়ক ফিকহ
- শপথ ও মান্নত
- পরিবার বিষয়ক ফিকহ
- চিকিৎসা, ঔষধ ও শরীয়ত অনুমোদিত ঝাড়-ফুঁক
- খাবার ও পানীয়
- অপরাধসমূহ
- হুদূদ/শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি
- মামলা ও বিচারিক ফিকহ
- জিহাদ
- সম-সাময়িক বিষয়ের ফিকহ
- সংখ্যালঘু মুসলিম বিষয়ক ফিকহ - ফিকহুল আকাল্লিয়াত
- নও-মুসলিমের জন্য নির্বাচিত বিষয়
- ইসলামী রাজনীতি
- ফিকহের মাযহাবসমূহ
- ফতোয়া
- উসূলুল ফিকহ
- ফিক্বহের বইসমূহ
- সৎকর্ম ও আনুগত্যের ফযিলত এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি
- ইবাদাতের ফযীলতসমূহ
- উত্তম চরিত্রের ফযীলতসমূহ
- আদব-আখলাক ও ওয়াজ-নসীহত
- ইসলামী আদব বা শিষ্টাচার
- রাস্তা ও বাজারের আদাবসমূহ
- খাওয়া ও পান করার আদাবসমূহ
- আতিথিয়তার আদব (শিষ্টাচার)
- যিয়ারতের আদব (শিষ্টাচার)
- হাঁচির আদাবসমূহ
- বাজারের আদব (শিষ্টাচার)
- হাই তোলার আদব (শিষ্টাচার)
- অনুমতি চাওয়ার আদাবসমূহ
- পোষাকের আদাবসমূহ
- রোগীর দেখা-শুনা করার আদাবসমূহ
- ঘুম যাওয়া ও তা থেকে জাগ্রত হওয়ার আদাবসমূহ
- স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্ন
- কথার আদব
- সফরের আদাবসমূহ
- মসজিদের বিধি-বিধান
- স্বপ্নের আদাবসমূহ
- দো‘আসমূহ
- দাওয়াহ ও দা‘ঈ
- ইসলামী দা‘ওয়াতের বাস্তবতা
- সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ
- আত্মার পরিশুদ্ধিতা, উপদেশ ও অন্তর-কোমলকারী বিষয়
- ইসলামের দিকে আহবান
- মুসলিমের জন্য অত্যাবশ্যকীয় জ্ঞান
- আরবী ভাষা
- ইতিহাস
- ইসলামী সংষ্কৃতি
- পর্যায়ক্রমিক অনুষ্ঠানসমূহ
- চলমান পরিস্থিতি এবং মুসলিমদের অবস্থা
- শিক্ষা এবং বিদ্যালয়সমূহ
- গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা
- পত্র-পত্রিকা ও জ্ঞান-সম্মেলন
- যোগাযোগ ও ইন্টারনেট
- প্রাচ্যবাদ ও প্রাচ্যবিদগণ
- জ্ঞান সংক্রান্ত ব্যাপারে মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গি
- ইসলামী ব্যবস্থাসমূহ
- ওয়েবসাইটের প্রতিযোগিতাসমূহ
- বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রাম ও অ্যাপসমূহ
- লিংকসমূহ
- পরিচালনা
- Curriculums
- জুমার খুতবাসমূহ
- Academic lessons
ফতওয়া
আইটেম সংখ্যা: 143
- বাংলা মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রমজানের কাজা রোজা ও শাওয়ালের ছয় রোজা একসাথে এক নিয়তে আদায় করা বিষয়ক একটি প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নটি হল : শাওয়ালের ছয় রোজা ও মাসিকের কারণে কাজা হয়ে-যাওয়া রমজানের রোজা কী এক নিয়তে এক সাথে আদায় করা বৈধ হবে?
- বাংলা মুফতি : ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি অনুবাদ : জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া প্রকাশক : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
যে ব্যক্তি রমজান মাসে কষ্টসাধ্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তার জন্য রোজা ভঙ্গ করা কি বৈধ হবে? ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ-জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, যা হল নিম্নরূপ: এক ব্যক্তি কৃষিক্ষেত্রে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে । রোজা রাখা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এমতাবস্থায় তার জন্য কি রোজা ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি রয়েছে?
- বাংলা মুফতি : ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি অনুবাদ : জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অনুসরনে রমজা মাসে ইতিকাফ করতে চাই। ইতিকাফের আহকাম ও শর্তসমূহ যদি বর্ণনা করতেন তবে খুব ভালো হত। এ জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, যা হল এইরূপ : ইতিকাফকারীর জন্য কি মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ যার উদ্দেশ্য হবে : রোগী দেখা, খাবার দাওয়াত কবুল করা, আত্মীয়-স্বজন দেখতে যাওয়া, জানাজায় অংশ নেয়া।
- বাংলা মুফতি : ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি অনুবাদ : জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া প্রকাশক : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
মাহে রমযানে সাওম ভঙ্গের হুকুম কী? ইলমী গবেষণা ও ফাতওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, যা হলো নিম্নরূপ: যে ব্যক্তি সাওম ভঙ্গের কোনো একটি বিষয়ের সাথে জড়িত হলো তার ভাঙ্গা সাওমের কাফফারা কীভাবে প্রদান করা সম্ভব হবে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
- বাংলা মুফতি : ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি অনুবাদ : আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া প্রকাশক : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
যে ব্যক্তি রমযান মাসে কষ্টসাধ্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তার জন্য সাওম ভঙ্গ করা কি বৈধ হবে? ইলমী গবেষণা ও ফাতওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, যা হলো নিম্নরূপ: এক ব্যক্তি কৃষিক্ষেত্রে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সাওম রাখা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এমতাবস্থায় তার জন্য কি সাওম ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি রয়েছে ?
- বাংলা মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্লাস্টিক সার্জারি কখন বৈধ এবং কখন অবৈধ এ বিষয়টির বর্ণনায় বক্ষ্যমাণ ফাতওয়াটি আবর্তিত। এ ব্যাপারে শাইখ ইবন উসাইমীন রাহ.-এর মতামতও উল্লেখ করা হয়েছে। প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ে পড়াশোনা বৈধ কিনা সে ব্যাপারেটিও স্থান পেয়েছে ফতোয়াটিতে। আশা করি সবাই উপকৃত হবেন।
- বাংলা মুফতি : জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া প্রকাশক : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
শাবান মাসের শেষার্ধে সাওম পালনের বিধান সম্পর্কে ফাতওয়াটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
- বাংলা মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
স্ত্রীর সাথে ইন্টারনেটে চ্যাট করে পুলকিত হওয়া ও এ অবস্থায় হস্তমৈথুনের মাধ্যমে শান্ত হওয়ার হুকুম কী? এ প্রসঙ্গে ফাতওয়া।
- বাংলা মুফতি : আব্দুর রাযযাক আফিফী অনুবাদ : জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের সম্পাদনা : আলী হাসান তৈয়ব প্রকাশক : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
প্রশ্ন : মহিলাদের জন্য প্রাণী জবাই করা বৈধ কি-না? তাদের জবেহকৃত জন্তু খাওয়া জায়িজ কি-না জানতে চাই?
- বাংলা মুফতি : আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায মুফতি : আব্দুর রাযযাক আফিফী অনুবাদ : জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের সম্পাদনা : আলী হাসান তৈয়ব প্রকাশক : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
সুদ হারাম হওয়ার কারণ কি?
- বাংলা মুফতি : আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায মুফতি : আব্দুর রাযযাক আফিফী অনুবাদ : জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের সম্পাদনা : আবু শুআইব মুহাম্মাদ সিদ্দীক প্রকাশক : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
প্রশ্ন : কেনা-কাটার ক্ষেত্রে মুসলমানের পারস্পরিক সহযোগিতা পরিহার করা যেমন- কোনো কিছু কেনার প্রয়োজন হলে মুসলিমের দোকান থেকে না কিনে অমুসলিমের দোকান থেকে ক্রয় করা ইত্যাদি প্রবণতাকে শরিয়ত কোন দৃষ্টিতে দেখে?
- বাংলা মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ অনুবাদ : মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক
শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ - হাফিযাহুল্লাহ - একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্ন এই :(খুবই লোভনীয় সুযোগ-সুবিধাসহ আমি এক কোম্পানিতে কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। আমার কাজের ধরনটা হবে কোম্পানির গবেষণাগারে শূকরের জিন বিষয়ে গবেষণা করা। এসব গবেষণার সর্বশেষ উদ্দেশ্য হল শূকরের জাত ও উৎপানে উন্নয়ন সাধন। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে শূকরের সংখ্যা পরিবর্ধন ও শূকরের গোশতের বৈশিষ্ট উন্নতকরণ এবং মানুষের ব্যবহারের জন্য তা বাজারে ছড়িয়ে দেয়া। অর্থাৎ আমার বেতনের উৎস হবে মানুষ কর্তৃক শূকরের গোশত ক্রয় ও ব্যবহার। এখন প্রশ্ন হল, এ ধরনের উৎস থেকে অর্জিত সম্পদ কি বৈধ হবে? আমি কি চাকরিটা নেব? না প্রত্যাখ্যান করব? দ্রুত উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ হব যাতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পরি। আল্লাহ আপনাদেরকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।)
- বাংলা মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ অনুবাদ : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান সম্পাদনা : মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক
শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নটি হল এই : (আমি একজন মুসলিম যুবক। আমি পাশ্চাত্যের একটি দেশে খাদ্যের গোডাউনে কাজ করি। আমি খাদ্যদ্রব্য বাজারে সাপ্লাই করি, দোকানে দোকানে দিয়ে আসি। আমি এসব খাদ্য একত্রিত করি ও ট্রাকে উঠাই। এতে যেমন থাকে বিভিন্ন ফলমূল, শাক-সবজি তেমনি থাকে মাংস, দুধ। অনেক সময় এমন সম এমন গ্রাহকের সাক্ষাৎ পাই যে শূকর অথবা শকরজাত কোনো দ্রব্য চেয়ে বসে, তখন আমরা এগুরো একটিত করতে ও ট্রাকে উঠাতে বাধ্য হই । আমার প্রশ্ন হল: শরীয়তের দৃষ্টিতে এ কাজটি করার বিধান কি? উল্লেখ্য যে, যেসব খাবারের দোকান ও ক্যাফেতে কাজের সুযোগ রয়েছে সবগুলোতেই শুকরের গোশ্ত পরিবেশন করা হয়।
- বাংলা মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ অনুবাদ : মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক
জীবজন্তুর জন্য খাবার তৈরির কাজ করা কি বৈধ? শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ - হাফিযাহুল্লাহ- গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশ্নটির উত্তর দেন।
- বাংলা মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
শূকরের স্পর্শে-আসা পাত্রে পাকানো হালাল গোশত খাওয়া যাবে কি-না এজাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর দেন শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল মুনাজ্জিদ- হাফিযাহুল্লাহ-, মূল প্রশ্নটি এই: ( এমন রেস্টুরেন্টে গোশত খাওয়া কি বৈধ হবে যেখানে শূকরের গোশত ও মদ পরিবেশন করা হয়, এমতাবস্থায় যে আমরা জানি না, পরিবেশনকৃত গোশত হালাল তরিকায় যবেহকৃত জন্তুর কি-না ? উপরন্তু শূকর ও অন্যান্য জন্তুর গোশত অভিন্ন ফ্রিজে রাখা হয় এবং অভিন্ন পাত্র দিয়ে পাকানো হয়।
- বাংলা মুফতি : সা‘দ ইবন আব্দুল্লাহ আল-হুমাইদ অনুবাদ : মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক
শায়খ সাআদ আল হুমাইদ- হাফিযাহুল্লা- হালাল খাদ্যে কোনো হারাম বস্তু মিশ্রণ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নটি হল এই : (যেসব বস্তু, খাদ্যে বাড়িয়ে দিলে, খাদ্য হারাম হয়ে যায় সে বস্তুগুলো সম্পর্কে বলবেন কি?) হলান্ডে একটি সংবাদ বিবরণীতে, খাদ্যে ব্যবহৃত অতিরিক্ত ফ্লেবার সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। এটা ছিল ve-tsin নামের চাইনিজ ফ্লেবার সংক্রান্ত যা শূকরের এনজাইম ও প্রোটিন থেকে তৈরি। প্রশ্ন হল, এটা ব্যবহৃত খাদ্য কি মুসলমানের জন্য হারাম বলে গণ্য হবে? যখন কেউ বাজারে যায় এমন অনেক বস্তু পায় যাতে E এবং C নাম্বারের বস্তু বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হল স্বাদ ও রঙ নির্দেশক। তবে এ বস্তুগুলোর উৎস কী তা অজানা। অনেকেই এ বস্তুগুলো ক্রয় করে থাকেন সাত-পাঁচ না ভেবেই। এ আচরণ অশুভ নিঃসন্দেহে। আমি আমার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবকে এ জাতীয় অজ্ঞতা থেকে রক্ষা করতে চাই। আমি জানতে চাই, কেউ কি আমাকে ঐ বস্তুগুলোর একটা লিস্ট দিতে পারবেন যাতে হারাম জিনিস রয়েছে?
- বাংলা মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
শূকরের অপবিত্রতা থেকে কীভাবে পবিত্রতা অর্জন করা যায়, শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ এ বিয়ষে একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, প্রশ্নটি হল এই ( ছোটকালে আমি আমার পরিবারের সাথে বাইরে সফর করি। সফরকালে একসময় আমাদের বিসু্কট দেয়া হল। মা যখন এ ব্যাপারে জানলেন তিনি আমাকে নিষেধ করলেন। যতটুকু মনে পড়ে, আমরা আমাদের হাত ও মুখ পানি ও মাটি দিয়ে ( ৭ বার যার একবার হবে মাটি দিয়ে) শূকর স্পর্শকারী অথবা শূকরের কোনো কিছু স্পর্শকারীর ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের যেরূপ নির্দেশ কবেছেন, সেভাবে ধৌত করি নি, । এর কয়েক বছর পর আমি আবারও বাইরে যাই, এবং ভুলক্রমে শূকরের গোশত খেয়ে ফেলি তবে আমার হাতে, মুখে, শূকরের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট থাকে নি। তার গন্ধ, স্বাদ বা রঙ কোনোটিই অবস্থিত থাকে নি। প্রশ্ন হল, এখন কি আমার হাত-মুখ কি এখন ধৌত জরুরি? আমার তো ভয় হচ্ছে যে উলি্লখিত দুই ঘটনার কারণে আল্লাহ আমাদের সালাত কবুল করবেন না। আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার করে বললেন।)
- বাংলা মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ - হাফিযাহুল্লাহ-শূকরের অপবিত্রতা বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেন, প্রশ্নটি হল “ আমি পড়েছি যে, যেসব থালা-বাসন, চামচ, চাকু শূকরের গোশতের স্পর্শে এসেছে সেগুলো সাতবার পানি দিয়ে এবং একবার বালু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, কথাটা কি শুদ্ধ? এ ব্যাপারে কি কোনো হাদীস এসেছে? একবার সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলেই কি হয়ে যাওয়ার কথা নয়?
- বাংলা
শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নটি হল এই: (আমি একটি নৌযান এজেন্সিতে কাজ করি, চলাচলকারী জাহাজগুলোকে আমরা সেবা দিই। এ জাহাজগুলোর অধিকাংশই ভিনদেশী এবং এর কর্মকর্তা কর্মচারীরা অমুসলিম। কম্পানির মালিক কখনো কখনো এসব জাহাজে শূকরের গোশত বিক্রি করে থাকেন। এর দ্বারা যে লাভ হয় তা আমাদের মাঝে বন্টন করে দেন। আমরা তা গ্রহণ করি এ হিসেবে যে অমুসলিমদের জন্য শূকরের গোশত বিক্রি করা জায়েজ, হারাম নয়। অমুসলিমদের কাছে শূকরের গোশত বিক্রি করা হরাম এ মর্মে কুরআন সুন্নায় কোনো টেক্সট আসে নি। তদ্রূপভাবে মদের সাথেও শূকরের গোশতের কোনো তুলনা চলে না; কেননা শূকরের গোশত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লামের যুগেও পাওয়া যেত। তাই তিনি যদি তা হারাম করতেন ও তার প্রতি লানত করতে চাইতেন তা হলে অবশ্যই করতেন। সে কথা যাক। আমাদের কোম্পানির মালিক শূকরের গোশত বিক্রির যে পয়সা আমাদেরকে দেন তা কী হালাল না হারাম? বিষয়টি কি এরকম যে আমরা যেহেতু শূকরের গোশত বিক্রয়ে শরিক নই, বরং কোম্পানির মালিক আমাদেরকে দান হিসেবে দেন, তাই এ দান গ্রহণ করা কি আমাদের জন্য বৈধ? আমরা তো জানি এর উৎস কি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কি সরাসরি, দ্ব্যর্থহীন, অকাট্য কোনো হাদীস এসেছে যেখানে তিনি শূকরের গোশত অমুসলিমদের কাছে বিপনন করা হারাম বলে ঘোষণা করেছেন। আর শূকরের গোশত তো আহলে কিতাবদের জন্য হালাল।)
- বাংলা