আধুনিক বিজ্ঞান আল কুরআনের বিপক্ষে নয় বরং পক্ষে পেশ করেছে-করছে বহু প্রমাণ যা বিশ্বাসীদের দাঁড়াবার ভূমিকে করে দিচ্ছে আরো মজবুত-দৃঢ়।বক্ষ্যমাণ বইটি এ দৃষ্টিকোণ থেকেই লেখা। আশা করি যেকোনো পাঠক বইটি পড়ে উপকৃত হবেন।
এ বইয়ের কোথাও, কোন ছত্রে, এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে না, প্রথাগত ভাষায় যাকে বলা হয় অসত্যের সঙ্গে সত্যের বিতর্ক, কিংবা নিরেট বিশুদ্ধ কালচার, নির্জীব চিন্তা ও জ্ঞানের চর্চা; বরং এ হচ্ছে সদা কল্যাণে ধাবমান এক জীবনময়তা, কিংবা জীবনের প্রতিটি পরতে কল্যাণের বিস্তার। অথবা সাদাকায়ে জারিয়ায় জীবনকে অনন্ত প্রবাহে বিধৌত করণ। এ বই ও তার আলোচনার-সূচনা হতে সমাপ্তি অবধি-এই হচ্ছে একমাত্রিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
জান্নাতের পথে : বইটিতে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার বিভিন্ন আমলের ব্যাখ্যা ও তার ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে।আল্লাহর অপার রহমত ও ক্ষমা প্রাপ্তি এবং জান্নাতের বিভিন্ন নেয়ামত প্রসঙ্গেও বইটিতে আলোচনা রয়েছে।
মানুষের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা- বিশেষ করে মনোবিজ্ঞান- কীভাবে আল্লাহর পথে আহ্বান ও ইসলাম প্রচার প্রক্রিয়ায় সহায়তা দিতে পারে সে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে আমাদের বর্তমান বইটিতে। দাওয়াতী ময়দানে কর্মরত যে কোন ব্যক্তি এত্থেকে উপকৃত হবেন বলে আমাদের আশা।
দ্বাদশ-ইমামী শিয়া ধর্মের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট রূপরেখা: শিয়া-সুন্নী ঐক্যের যে দাওয়াত দেখা যাচ্ছে, তা গ্রন্থকার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে তা অসম্ভবতা ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি তাদের গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি নিয়েছেন যে, তারা মূলত: ঐক্য চায় না, বরং তারা চায় তাদের মতামত প্রচার ও প্রসার করতে। কারণ, যারা শিয়া মাযহাব রচনা করেছে তারা ঐক্যের কোন সুযোগ সেখানে অবশিষ্ট রাখে নি।
বাংলা ভাষাভাষী এমন অনেকেই আছেন, যারা কিছু অভ্যাস ও আমলের আশ্রয়ে মৃত ব্যক্তির জন্যে ছাওয়াব পৌছাতে চান। এ ক্ষেত্রে শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা বিস্তারিতভাবে বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব আত-তামীমী রহ. এর একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা, যাতে জাহেলী যুগের এমন ১০০ টি মাসায়েল উল্লেখ করা হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেগুলোর বিরোধিতা করেছেন।
প্রত্যেক ব্যক্তির ঈমানের দৃঢ়তা, ইলামের গভীরতা ও ইবাদতে একাগ্রতা বিবেচনায় রেখে শয়তান তার উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে, বক্ষ্যমান পুস্তিকায় এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
তারবিয়া : আত্মার খোরাক জোগানো ও চরিত্র সংশোধনের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বই, এতে নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলি স্থান পেয়েছে : (১) আল্লাহর জন্যে ভালবাসা, (২) জিকির, (৩) দুআ, (৪) অন্তর ও তার রোগসমূহ, (৫) শয়তানের ধোঁকা, (৬) গুনাহের দরজা, (৭) জিভের হিফাজত, (৮) শ্রুতিগত বিষয়ের প্রকার, (৯) পাপ ও প্রতিকার, (১০) পাপ থেকে মুক্তিলাভের উপায়, (১১) আত্মসমালোচনা, (১২) দৃঢ়তা, (১৩) যাতে আমাদের শেষ পরিণতি হয় ভাল হবে। পাঠক মাত্রই বইটির দ্বারা উপকৃত হবে।
আশুরা : করনীয় ও বর্জনীয় : আশুরা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। আশুরা দিবসে কোন কোন আমল জায়েয আর কি কি নাজায়েয তার উল্লেখ রয়েছে বইটিতে। মানুষ এ দিবসকে কেন্দ্র করে যে সকল বিদআত ও কুসংস্কারের আবিষ্কার করেছে তারও বিস্তারিতভাবে আলোচনা এসেছে এখানে।
মুসলিম উম্মাহর মানসিক বিপর্যয়: কারণ ও প্রতিকার, ড. আব্দুল্লাহ আল-খাতিরের একটি কালজয়ী বই। মুলত এটি বৃটেনে প্রদত্ত একটি বক্তৃতা। আজকে মুসলিম উম্মাহর সর্বত্র বিপর্যয়কর অবস্থা। সামরিক, রাজনৈতিক, চিন্তা-চেতনায় ও মানসিক দিক দিয়ে তো অবশ্যই। আসল বিপর্যয় শুরু হয় মানসিক দিক থেকে। অত:পর তা ছড়িয়ে পরে সর্বক্ষেত্রে। গ্রন্থাকার এ বিষয়টি সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন। তিনি একজন মনোবিজ্ঞানী ও ইসলামী চিন্তাবিদ হওয়ার কারণে এর যথাযথ প্রতিকার বিষয়ে আলোচনা করতে প্রয়াস পেয়েছনে এ বইটিতে।
যিলহজ মাসের প্রথম দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ দশকে এবাদত-বন্দেগির তুলনায় আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় অন্য কোনো কাল ও সময় নেই মর্মে হাদিসে এসেছে। আরাফা দিবস মাগফেরাত ও জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভের শ্রেষ্ঠ দিবস, যে দিবসের রোজা বিগত ও আগত এক বছরের পাপের কাফফারা। এ দিবসটিও যিলহজ মাসের প্রথম দশকেই অবস্থিত। ইয়াউমুন নাহর, যা হাদিসের ভাষ্যানুযায়ী সমধিক মহিমান্বিত দিবস, যিলহজের প্রথম দশকেই অবস্থিত। বড় ঈদ ও কোরবানি এ দশকেই স্থান পেয়েছে, এবং উভয়টারই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আহকাম। আমাদের বর্তমান রচনাটি উল্লিখিত সবকটি বিষয়কেই আলোচনায় এনেছে যথার্থভাবে। রচনাটি পাঠকবৃন্দের উপকারে আসবে বলে আমাদের আশা।
আমাদের বর্তমান প্রকাশনাটি নারীর হজ ও উমরা বিষয়ে একটি মৌলিক গ্রন্থ। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য বিধানাবলি বিশদভাবে বর্ণনার পাশাপাশি নারীর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য কিছু বিধানের অনুপুঙ্খ বর্ণনা স্থান পেয়েছে গ্রন্থটিতে। হজ পালনের পূর্বে এ গ্রন্থটির অধ্যয়ন বাংলা ভাষাভাষী নারী হজ পালনকারীদের ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক বলে মনে করি।