এ ফাতওয়াটিতে একটি সন্দেহের অপনোদন করা হয়েছে। সন্দেহটি ছিল এই যে, জনৈক বক্তা-ওয়ায়েজ ইউরোপের এক মসজিদে বলেছিল যে, ইয়াহূদী ও খৃস্টানদের কাফির বলা জায়েয নয়। শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-উসাইমীন এ সন্দেহের অপনোদনে উক্ত ফাতওয়াটি প্রদান করেন।
একটি নিবন্ধে প্রকাশ করা হয়েছে যে, “আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা: ১. নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত এবং তাকে সর্বদা চাক্ষুষভাবে দেখা যায়। ২. তিনি সবকিছু জানেন ও আল্লাহর মখলুক পর্যবেক্ষণ করেন। ৩. একই সময়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমান ও উপস্থিত হতে পারেন”। তাদের বক্তব্য কি সঠিক? এ ফতোয়াতে তার উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
এ ফতোয়ায় নিম্নের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে: আমি দু’টি কিতাবে পড়েছি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি, আল্লাহ তাকে স্বীয় নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন, এবং তার কারণে তিনি অন্যান্য মখলুক সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান পরিপক্ব নয়, অতএব আমাকে স্পষ্ট করে বলুন। শোকরান।
এ ফতোয়ায় নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে: আমি অমুসলিম, আমি জানতে চাই যে, “আল্লাহ কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন” ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে? এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
প্রশ্ন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “ফিরিশতাগণ ও রূহ এমন এক দিনে আল্লাহর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়, যে দিনের পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।” এ আয়াত কি প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলা ‘আরশের উপর থেকে দুনিয়াবী কার্যাদি সম্পাদন করেন? যদি এরূপ হয়, তাহলে তিনি আমাদের নিকটে আছেন -এটা কীভাবে সম্ভব?
আয়েশা রাদিয়াল্লাহ ‘আনহাকে আল্লাহ তা‘আলা সাত আসমানের উপর থেকে পবিত্রা ঘোষণা করেছেন। তারপরও শিয়া গোষ্ঠী তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করে। যারা তাঁকে অপবাদ দেয়, ইসলামী শরী‘আতে তাদের বিধান কী এ ফতোয়াতে তা আলোচনা করা হয়েছে।
নারী-পুরুষ সংমিশ্রণের বিধান: ফাতওয়াটি সৌদি আরবের ইলমী গবেষণা ও ফাতওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হলো: এক ব্যক্তি নারী-পুরুষ সংমিশ্রণ সমস্যায় ভুগছে। আপনারা যদি তার মাতা-পিতা ও ভাই-বেরাদরকে এ ব্যাপারে উপদেশ দিতেন যাতে সে নিজে ও তার স্ত্রী তার মাতা-পিতার অনুমতি নিয়েই দূরে থাকতে পারে এবং উত্তমরূপে শরী‘আতের বিধান চর্চায় সক্ষম হয় ?
ফাতওয়াটি মদীনায় গমনকারীদের মারফতে রাসূল সালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সালাম পাঠানোর বিধান প্রসঙ্গে। প্রশ্নটি হলো: হাজীদের মধ্যে যারা মদীনায় গমন করে তাদের মারফতে রাসূল সালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সালাম প্রেরণের বিধান কী?
শিয়ারা বলে থাকে, কুরআনে সূরাতুল বিলায়াহ নামে একটি সূরা আছে। সাহাবীরা সেটিকে বাদ দিয়েছে। এ ধরনের আকীদা পোষণকারীদের বিধান কী ফতোয়াটিতে তা আলোচনা করা হয়েছে।
শিয়ারা মিথ্যাচার করে বলে, সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জানাযা পড়েন নি। এ ফতোয়াটিতে তাদের মিথ্যাচারের সমুচিত জবাব দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়েছে।
এ ফতওয়াটিতে সাময়িক বিবাহের বিধান আলোচনা করা হয়েছে। শরী‘আত এ বিবাহকে হারাম ঘোষণা করার পরও কিছু ভ্রান্ত দল ও গোষ্ঠী সেটার চর্চা করে যাচ্ছে। তারা তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করার জন্য কুরআনের কোনো কোনো আয়াতকে পেশ করে থাকে। এ ফতওয়াটিতে সেসব সন্দেহের নিরসন করা হয়েছে।