এতে ইসলামের প্রথম খলীফা কে ছিল তা আলোচনা করা হয়েছে। শিয়া সম্প্রদায়ের দাবি আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ইসলামের প্রথম খলীফা, তাদের এ দাবীকে এ ফতোয়ায় খণ্ডন করা হয়েছে।
বর্তমান যুগে রাষ্ট্রের মধ্যে এ প্রথা চালু হয়েছে যে, কোনো রাজা-বাদশাহ বা রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যু হলে ৩ দিন বা তাঁর চেয়েও কম অথবা এর চেয়েও বেশি দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অফিস-আদালত বন্ধ করা এবং পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। উক্ত ফতোয়ায় রাষ্ট্রীয় শোক পালনের শর‘ঈ বিধান কী? তা আলোচনা করা হয়েছে।
ফুটবল টুর্নামেন্ট বা প্রতিযোগিতা দেখা কী? এ খেলা দেখলে কি গুনাহ হবে? মুফতি সাহেব এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন উদ্ধৃতির আলোকে অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায়।
কুরআনুল কারীম অযু ব্যতীত স্পর্শ করা যাবে-কিনা এ সম্পর্কে আহলে ইলমগণ দ্বিমত পোষণ করেছেন; তবে যারা বলেন অযু ব্যতীত স্পর্শ করা বৈধ নয়, তাদের কথাই অধিক বিশুদ্ধ মনে হয়। এ মর্মে তিনজন শাইখের তিনটি ফাতওয়ার অনুবাদ পেশ করা হলো। ক. শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন বায, খ. প্রফেসর ড. আহমদ ইবন মুহাম্মাদ আল-খলিল ও গ. শাইখ ইবন উসাইমীন রহ. প্রমুখদের ফাতওয়া।
কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত শেষে অনেককে দেখি ‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলেন, অথচ ইসলামি শরিয়তে তার কোনো প্রমাণ নেই, বরং এরূপ বলা বিদআত। এ বিষয়টি অত্র নিবন্ধে প্রমাণসহ পেশ করা হয়েছে।
প্রশ্ন : আমি এবং আমার দুই বান্ধবী ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের জন্য মসজিদে যেতে চাই; কিন্তু তারা দুজন পর্দা করে না। তাদের জন্য কি নিজেদের অভ্যস্ত পোশাকের সঙ্গে কেবল ওড়না পেচিয়ে মসজিদে যাওয়া জায়েয হবে? এ প্রশ্নের চমৎকার উত্তর উপস্থাপন করা হয়েছে এ ফতোয়ায়।
ফতোয়াটিতে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কর্তৃক তাঁর কোন ছেলেকে কুরবানী দেওয়া হয়েছিল তা প্রমাণসহ তুলে ধরা হয়েছে এবং সাব্যস্ত করা হয়েছে যে যাকে কুরবানী দেওয়া হয়েছিল তিনি হচ্ছেন, ইসমা‘ঈল আলাইহিস সালাম। ইয়াহূদী ও নাসারাদের কর্তৃক ইসহাক আলাইহিস সালাম হওয়ার দাবী এক অসার ও অসত্য দাবী।
কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের ‘ঈসালে সাওয়াব’ বা সাওয়াব পৌঁছানো সংশ্লিষ্ট তিনটি ফতোয়া: (১) জীবিত ব্যক্তির তিলাওয়াত বা ঈসালে সাওয়াব দ্বারা কি মৃত-ব্যক্তি উপকৃত হয় ? কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করতেন ? (২) তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা কি বৈধ ? বিনিময়দাতা কি এ জন্য গুনাহগার হবে ? (৩) কুরআন অথবা অন্যান্য ইবাদাতের সাওয়াব কি মৃতদের নিকট পৌঁছে?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন রমজানে ইফতার করেছি, এখন ৬০ জন মিসকিনকে খাদ্য দান করতে চাই। প্রশ্ন : এক সাথে দান করা জরুরী, না প্রতিদিন ৪ বা ৩ জন মিসকিন খাওয়ানোর সুযোগ রয়েছে, আমার পরিবারভুক্ত কেউ যদি গরিব হয়, তাদেরকে খাদ্য দান কি বৈধ হবে? যেমন আমার মা ও ভাই বোন?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল : আমার স্ত্রী মারা গেছেন এই চিঠি লেখার তারিখ থেকে দু’সাপ্তাহ পূর্বে। আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন। তার জিম্মায় গত রমজানের সাতটি কাজা রোজা ছিল, যা তিনি মাসিকের কারণে পালন করতে পারেনি। কাজা করার পূর্বেই তিনি মারা গেছেন। এখন আমি তার পক্ষ থেকে রোজ পালন করব কি না ? প্রকাশ থাকে যে আমার উপরও এক মাসের কাজা রোজা রয়েছে। আমি কি আমারগুলো আগে পালন করব, অতঃপর তার পক্ষ থেকে পালন করব ?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: জনৈক ব্যক্তি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত প্রায় ছিল। অতঃপর দীর্ঘ সময় পর সুস্থ হয়, যাতে পার হয়েছে রমজানও, সে তখন কিছুই জানত না। দীর্ঘ দিন পর আল্লাহ তাকে সুস্থতা দিয়েছেন, এখন সে পরিপূর্ণ সুস্থ। তার উপর কোন কোন সালাত ও সিয়াম কাজা করা ওয়াজিব?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল : আমার মা মারা গেছেন, তিনি তার জীবদ্দশায় আমাকে বলেছেন যে, তার জিম্মায় দু’বছরে দু’রমজানের কাজা রোজা রয়ে গেছে। যখন রমজান এসেছে, তখন তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। তিনি তার কাজা আদায় না করেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করব, না খাদ্য দান করব ? খাদ্য দান করার পদ্ধতি কি ? কিছু ছাগল যবেহ করে তা ষাট ঘরে বণ্টন করে দেব, না খাদ্য পরিমাণ নগদ অর্থ দেব?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল : আমি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার নফল সিয়াম পালন করি। এক রাতের ঘটনা, আমি সেহরি খেয়ে পানি পান না করেই ঘুমিয়ে পড়ি, ফজরের এক ঘণ্টা পর যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হই, তখন খুব পিপাসিত ছিলাম। অতঃপর আমি পানি পান করি এবং রাত পর্যন্ত সিয়াম পালন করি। অথচ আমার জানা ছিল যে, ফজরের পর এক ঘণ্টা হয়ে গেছে। এ সিয়াম কি শুদ্ধ না অশুদ্ধ ? যদি শুদ্ধ না হয়, তাহলে আমার উপর কি কাফ্ফারা আছে ?