আকীদা

ইয়াযীদ ইবন মু‘আবিয়া সম্পর্কে মানুষ বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে। ইয়াযীদ নিজেও একজন অস্বস্তিকর ব্যক্তিত্ব। এ প্রবন্ধে ইয়াযীদ ইবন মু‘আবিয়া সম্পর্কে আলেমগণের সুচিন্তিত মতামত এবং আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে।

এটি মূলত ১২ শাওয়াল ১৪৩৫ হি. মক্কার মসজিদে হারামে প্রদত্ত জুমার খুতবার অনুবাদ। এতে নবী ইউনুস ‘আলাইহিস সালামের ঘটনা, তা থেকে গ্রহণীয় শিক্ষা ও উপদেশ, বিশেষত আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকার ক্ষেত্রে কষ্ট সহ্য করা, ধৈর্যধারণ করা এবং সুখে-দুখে সব সমস্যার সমাধানে আল্লাহর অভিমুখী হওয়া ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

পৃথিবীতে যত রকমের গুনাহের কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মহান আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার বা শরীক সাব্যস্ত করা। এরপর সবচেয়ে বড় গুনাহ অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা। হন্তারকের জন্য মহান আল্লাহ দুনিয়ায় বড় শাস্তি এবং আখেরাতে তীব্র আযাবের ঘোষণা দিয়েছেন। কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন উদ্ধৃতির আলোকে বক্ষমান নিবন্ধে সে বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে।

নবী-রাসূলদের কাহিনীর মধ্যে অনেক শিক্ষা বিদ্যমান। তা থেকে তারাই শিক্ষা নিতে পারে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা সে শিক্ষা নেওয়ার তাওফীক দান করেন। তাদের কাহিনীতে ফুটে উঠেছে তাওহীদপন্থীদের অবস্থা ও তাদের বিরোধীদের অবস্থান। কিভাবে তাদের কাউকে আল্লাহ নাজাত দিয়েছেন, আর অন্যদের কিভাবে ধ্বংস করেছেন। এ কাহিনীর শিক্ষাগুলো জানার মাধ্যমে যে কোনো লোকের পক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও শাস্তি কোথায় রয়েছে তা জানা সম্ভব হবে। এ প্রবন্ধে সেসব শিক্ষা থেকে কিছু কিছু শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে।

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল অতীতের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ নিবন্ধে সে প্রেক্ষাপট সামনে রেখে ইসলামের দৃষ্টিতে ভেজাল পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ এবং ভেজাল মিশিয়ে পণ্য বিক্রিলবদ্ধ উপার্জন অবৈধ সে বিষয়টি সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রবন্ধে লেখক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননা করার ভয়ংকর পরিণতি ও শাস্তির কথা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তুলে ধরেছেন; অতঃপর এ ব্যাপারে আমাদের করণীয় নির্দেশ করেছেন।

বাংলাদেশে একটি বিভ্রান্ত গোষ্ঠী নবীপ্রেমের জিগির তুলে হাজার হাজার মানুষের ঈমান হরণ করছে। নিজেদের আশেকে রাসূল দাবি করে মুসলিমদের নিয়োজিত করছে বিদ‘আত ও শিরকের মতো আত্মঘাতী কাজে। এ নিবন্ধে সাম্প্রতিক কিছু দৃষ্টান্ত দিয়ে তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা হয়েছে এবং তাদের ব্যাপারে সকল ঈমানদারকে সতর্ক করা হয়েছে।

কার ইবাদত করব ও কেন করব? এ প্রবন্ধটিতে প্রথমে যৌক্তিক দিক থেকে সৃষ্টি ও স্রষ্টা সংক্রান্ত মানুষের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গীসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তারপর যা বিবেকের পক্ষে যায় অর্থাৎ সৃষ্টির জন্য স্রষ্টার প্রয়োজন পড়ে এটা সাব্যস্ত করা হয়েছে। তারপর যিনি স্রষ্টা হবেন তার জন্য সৃষ্টির কি কোনো করণীয় আছে কি না? তাও বর্ণনা করা হয়েছে।

এ প্রবন্ধে লেখক মিথ্যা থেকে বাঁচার কিছু উপায় নির্দেশ করেছেন। বিশেষ করে শরীয়ত অনুমোদিত বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে তা ব্যক্ত করেছেন।

একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ, এতে ধূমপানের বিধান এবং ব্যক্তি ও সমাজে তার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রবন্ধটিতে লেখক হজ্জের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড কিভাবে তাওহীদের উপর প্রমাণবহ তা তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন।

ঘটনার শুরু, সিনেমায় কী ছিল দেখানো হয়েছে, প্রতারক বাসেলি, পৃথীবির সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি, বিশ্ব মানবতার প্রতি শান্তির ধর্ম ইসলাম ও মহানবীর অবিস্মরণীয় অবদান, আমেরিকার খোঁড়া যুক্তি, কেন এই ঘটনা, টার্গেট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট মধ্যপ্রাচ্য, আমাদের করণীয়- এসব উপশিরোনামে সম্প্রতি ইন্টারনেটে প্রচারিত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসলামের প্রতি বিষোদগারপূর্ণ সিনেমার পূর্বাপর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনায় আমাদের করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।

প্রবন্ধটিতে লেখক মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননার বিধান এবং দুনিয়া ও আখেরাতে এর ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

প্রবন্ধটিতে লেখক বাংলাদেশে সম্প্রতি খ্রিষ্টধর্ম প্রচারক ও মিশনারিদের উল্লেখযোগ্যভাবে লক্ষণীয় অপতৎপরতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। অতঃপর তিনি এর মোকাবেলায় আলেম ও সুধীজনের ভূমিকা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

বাংলাভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি কথা ‘অকাল মৃত্যু’। এ কথাটি ইসলামের শ্বাশত চেতনার সঙ্গে মানানসই নয়। এ নিবন্ধে কুরআন-সুন্নাহর আলোকেই সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।

আমাদের ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে প্রতিটি স্তরে জুলুম পরিহার করতে হবে। যে কোনো ধরনের অনাচার থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় সবাইকে একদিন এমন বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে যার কাছে কোনো কারচুপি বা দুর্নীতি করে বাঁচার সুযোগ নেই। যিনি সব শাসকের শাসক এবং সব বিচারকের নির্ভুল বিচারক।

আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়; সমস্যা: এ নিবন্ধে আত্মহত্যা সংক্রান্ত কুরআন ও হাদীছের বিভিন্ন উদ্ধৃতি তথা এ সংক্রান্ত শরীয়তের পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তেমনি এতে এর কারণসমূহ, এ অভিশাপ থেকে মুক্তির পথও সংক্ষেপে বলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আত্মহত্যা নিয়ে সমাজে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণার অপনোদন করা হয়েছে।

বক্ষমাণ নিবন্ধে সমাজের চাক্ষুস দৃষ্টান্ত ও পবিত্র কুরআনের আলোকে মুসলিম সমাজে বিশেষত বাংলাদেশে পশ্চিমা মূল্যবোধের কুপ্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অবশেষে এ থেকে পরিত্রাণের পথও সংক্ষেপে ব্যক্ত করা হয়েছে।

প্রবন্ধকার এখানে যুলুম এর বিভিন্ন প্রকার ও তার পরিণতি তুলে ধরেছেন। সাথে সাথে যুলুম না করার জন্য শরী‘আতের যে নির্দেশ রয়েছে তাও বর্ণনা করেছেন।

ইসলামে গান-বাজনা হারাম হলেও এ ব্যাপারে কিছু বিজ্ঞজনের ভিন্ন মত অনেককেই বিভ্রান্ত করে। আজকাল এই গান-বাজনার রমরমার যুগে অনেক মোটামুটি দীনদার লোকও এ ফিতনায় পতিত হন। তারা বিষয়টাকে এতোটা গুরুতর ভাবেন না। এসব ভাইয়ের সামনে বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরতেই এ লেখা।