মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে আমরা রোজ পাঁচবার মিলিত হয়ে রবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি পারস্পরিক খোঁজ-খবর রাখি। গড়ে তুলি ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সমাজে ছড়িয়ে পড়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভালোবাসার আবেশ। গড়ে উঠে এক সুশীল সমাজ। সেহেতু মুসলিম সমাজে মসজিদের গুরুত্ব অপরিসীম। সঙ্গত কারণেই মসজিদের মতো এর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্বও অনস্বীকার্য। বক্ষমাণ নিবন্ধে মসজিদ পরিচালনা কমিটির কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এ নিবন্ধে আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকার জন্য লেখালেখির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। যারা লেখালেখি করেন তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত, তার প্রতিও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এ নিবন্ধে আল-কুরআনুল কারীম ও সুন্নাহের আলোকে নারীর প্রতি ইসলামের সম্মান ও মর্যাদাসূচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের কিছু দিক তুলে ধরে তা প্রতিরোধে ইসলামের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক ও অবদানের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।
এ নিবন্ধে আল-কুরআনুল কারীম ও সুন্নাহের আলোকে মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নানাবিধ ইতিবাচক ভূমিকা ও অবদান তুলে ধরা হয়েছে, যা সব যুগের সকল মানুষের জন্য অনুসরণীয়।
এ নিবন্ধে বাস্তবতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে ইন্টারনেটের খারাপ ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে এবং এর নানাবিধ নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে মুসলিম যুবক ও যুবতীদেরকে অনুপ্রেরণা দেয়া হয়েছে।
বক্ষমাণ নিবন্ধে বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয় অশ্লীল সংস্কৃতি তথা নাটক-সিনেমা-সিরিয়ালসহ স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সামাজিক কুপ্রভাব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। এর কারণ ও এ উত্তরণের পথও সংক্ষেপে নির্দেশ করা হয়েছে আল্লাহর কয়েকটি বাণীর আলোকে।
এ নিবন্ধে প্রচলিত মিডিয়ার নেতিবাচক ভূমিকা আলোচনা করা হয়েছে। মিডিয়ার অপরিসীম প্রভাবের কথা তুলে ধরে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এর ইতিবাচক ভূমিকা ও করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে ।
ইতোপূর্বে একটি নিবন্ধে মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিমদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয় তার কথা বলা হয়েছে। এ নিবন্ধে মুসলিমদের সঙ্গে অমুসলিমরা কেমন আচরণ করেন সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি বহুল আলোচিত পাকিস্তানের দুই নাগরিক মালালা ও ড. আফিয়ার দৃষ্টান্ত টেনে পশ্চিমাজগত মুসলিমদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করে তাও পরিষ্কার উপস্থাপন করা হয়েছে। শেষে আমাদের করণীয় কী সে সম্পর্কে কুরআনের আলোকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এটা সঙ্গত নয় যে, মহিলাদের সারা শরীর ঢাকা থাকবে আর মুখমণ্ডল থাকবে খোলা। অথচ মানুষের প্রথম দৃষ্টিটিই পড়ে মুখের ওপর। তারপর সেখান থেকেই অন্তরে খারাপ বাসনার সৃষ্টি হয়। পবিত্র কুরআনে নারীদের হিজাব এবং তদসংক্রান্ত প্রায় আটটি আয়াত আছে। সেগুলো থেকেও একথা জানা যায়, শরীয়তের দাবী কেবল শরীর ঢাকা নয়, বরং মুখমণ্ডল ঢাকাও জরুরী।
প্রবন্ধকার এখানে মৃত ব্যক্তির জন্য কোন কোন কাজ করলে তা সুন্নাত মোতাবেক হবে ও কাজে লাগবে, তা নির্দেশ করেছেন। সাথে সাথে প্রচলিত কিছু বিদ‘আতের ব্যাপারে সাবধান করেছেন।
বাংলাদেশের একটি অনলাইন সংবাদপত্রে হজে না গিয়ে জনসেবার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের ঘটনা পড়ে আপ্লুত হয়েছিলাম। পরে শুনলাম ঘটনার লেখক একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে ‘নেক সুরতে’ ধোঁকা দেবার উদ্দেশ্যে নিজের উর্বর মস্তিষ্ক ও সরস কলম থেকে তার ওই লেখা প্রসবিত হয়েছিল। এ বছর কুরবানীর ঈদের আমেজ শেষ হবার আগেই আরেক অনলাইন পত্রিকার ব্লগে এমনই ছদ্মবেশি মানব শয়তানের দেখা মিলল। যার ‘নেক সুরতে’ ধোঁকা দেবার পদ্ধতি দেখে খোদ শয়তানও তাজ্জব না হয়ে পারে না। এ নিবন্ধে কুরবানী ও হজ বিষয়ে তার মতলবী প্রচারণার অসারতা ও এর পেছনের কারণ তুলে ধরা হয়েছে।
একটি মুসলিম দেশে ইসলাম শুধু মুসলিমদের অমুসলিমদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতেই বলে না, রাষ্ট্রে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সুখ-সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করে। পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহয় একাধিক স্থানে অমুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার তুলে ধরা হয়েছে। অমুসলিমরা নিজ নিজ উপাসনালয়ে উপাসনা করবেন। নিজ ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মালয়কে সুরক্ষিত রাখবেন। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তারা সমান। তাদের প্রতি কোনো প্রকার বৈষম্য ইসলাম বরদাশত করে না।
এ প্রবন্ধে শরীয়াহ্ এর পরিচয়, উৎস এবং শরীয়াহ্ আইন যে কুরআনেরই বিধান এবং কুরআন থেকে উৎসারিত সে বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি শরীয়াহ্ যে প্রগতিশীল, আধুনিক ও উন্নয়নধর্মী সেটিও তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ।
একদিকে হজ যেমন ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ, তেমনি আর্থিক ও শারীরিকসহ সব ধরনের ইবাদতের সমন্বয়ক হবার ফলে শ্রেষ্ঠতম ইবাদত। এতে সব ধরনের ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। কারণ, যিনি হজ করেন তিনি যেন রোযা রাখেন, সালাত আদায় করেন, ইতিকাফ করেন, যাকাত প্রদান করেন এবং আল্লাহর রাস্তায় রাত জাগেন ও জিহাদ করেন। আখিরাতে অনেক লাভ ছাড়াও হজ মানুষের জন্য পার্থিব অনেক কল্যাণ ও উপকারিতার বয়ে আনে। হাদীছে রাসূলের বিশাল ভাণ্ডারে হজ ও উমরার ফযীলত সম্পর্কে অনেক বাণী বিবৃত হয়েছে। সেসবই তুলে ধরা হয়েছে এ নিবন্ধে।
প্রবন্ধকার এখানে রমযানে একজন মুমিনের কী কী কাজ করা উচিত তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি ত্রিশটির মত আমলের কথা উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে কিছু আমল রয়েছে যা শুধু রমযানেই করা হবে। আবার কিছু আমল রয়েছে যা সারা বছরই করা হবে, তবে রমযানে করার গুরুত্ব বেশী। প্রতিটি আমলের সাথে দলীল-প্রমাণাদিও সন্নিবেশিত করেছেন।