এটি আল-কুরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের প্রথম অংশ। সরল ও সাবলীল বাংলায় অনুবাদসহ বিভিন্ন আয়াতের মৌলিক শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত এ তাফসীরে। অনুবাদের ক্ষেত্রে আল-বায়ান ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত আল-কুরআনের সরল অর্থানুবাদ-এর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বক্ষ্যমান প্রবন্ধে সূরা আল-বাকারা-এর ৮৩নং আয়াত থেকে ১৪১নং আয়াত পর্যন্ত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মসজিদ হবে সব কল্যাণের স্রোতস্বিনী: মসজিবিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। মসজদের মিশন, দাওয়াত, তারবিয়ত ও কল্যাণমূলক যেসব কার্যক্রমের ক্ষেত্রে, একটি আদর্শ মসজিদকে যেভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে তারই একটা রূপরেখা টানার চেষ্টা করা হয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে।
যে কয়েকটি কুস্বভাব সরাসরি কুরআন হাদীসে নিন্দা করা হয়েছে গীবত বা পরচর্চা তার মাঝে অন্যতম। কুরআনে একে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে কুরআন ও হাদীসের আলোকে গীবতের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আল-কুরআনুল কারীম অবিসংবাদিতভাবে সর্ববৃহৎ মু‘জিযা। আল্লাহর অস্তিত্ব, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াত এবং তিনি যে বিশুদ্ধ শরী‘আহ নিয়ে এসেছেন তার সত্যতা প্রমাণের জন্য আল-কুরআনই যথেষ্ট। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই আলোচনা সাজানো হয়েছে।
আলেমদের করণীয় কী? দাওয়াত ও তরবিয়তের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বর্তমানযুগে, তাদের দায়দায়িত্ব কী? এসব বিষয়ে উক্ত প্রবন্ধে খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা স্থান পেয়েছে।
আত্মমর্যাদাবোধ হারিয়ে ফেলা মুনাফিকের আলামত। একজন মুনাফিক এ গুণটি হারানোর কারণে অশালীন কাজ-কর্ম, যিনা ও অশ্লীলতা ছড়ানো পছন্দ করে। প্রবন্ধে বিষয় সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এটি আল-কুরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের প্রথম অংশ। সরল ও সাবলীল বাংলায় অনুবাদসহ বিভিন্ন আয়াতের মৌলিক শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত এ তাফসীরে। অনুবাদের ক্ষেত্রে আল-বায়ান ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত আল-কুরআনের সরল অর্থানুবাদ-এর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বক্ষ্যমান প্রবন্ধে সূরা আল-বাকারা-এর ২১নং আয়াত থেকে ৮২নং আয়াত পর্যন্ত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মুরাকাবা অর্থাৎ আল্লাহ আপনার চলন-বলন-উঠা-বসা সব কিছু দেখছেন। আপনি আল্লাহর দৃষ্টিকে কখনো এড়াতে পারেন না, এ অনুভূতি হৃদয়ে জাগ্রত করা। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে মুরাকাবার গুরুত্ব, মুরাকাবার গুনে গুণান্বিত হওয়ার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
সত্যবাদিতার গুরুত্ব, ব্যক্তিক ও সামাজিক জীবনে সত্যবাদী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা, সত্যবাদী হওয়ার পথ ও পদ্ধতি, ইত্যাদিকে ঘিরেই আলোচনা আবর্তিত হয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে।
ইসলাম আড়ম্বরতার বিরোধী। অপচয় ইসলামে অপছন্দনীয়। সাদাসিধে জীবনযাপন ও আড়ম্বরতা থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে ইসলামে রয়েছে শাণিত প্রেরণা। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টিকেই প্রতিপাদ্য বানানো হয়েছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদে নারীর অধিকার ও ইসলামের ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ আচরণকেই তুলে ধরা হয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে। ওয়ারিশের ক্ষেত্রে, পুরুষের বিপরীতে নারীকে ঠকানো হয়েছে বলে যে অপবাদ-অভিযোগ ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয় উক্ত প্রবন্ধে তার জবাব দেওয়া হয়েছে চমৎকার ভাষায়।
আল্লাহ প্রদত্ত শরিয়া আঁকড়ে ধরা, আল কুরআন ও সুন্নাহর যথার্থ অনুসরণ ইত্যাদির প্রতি নারীকে উৎসাহ প্রদানই আলোচ্য প্রবন্ধের লক্ষ্য। আল্লাহর নির্দেশর বলয় থেকে বের হয়ে যাওয়া ও পাপ-গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পরিণতি কী সে ব্যাপারেও উক্ত প্রবন্ধে আলোচনা উঠে এসেছে।
একমাত্র আল্লাহ তাআলাই মানুষের ডাকে সারা দিতে পারেন, বালা-মুসীবত দূর করতে পারেন। তাই এসব ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহকেই আহ্বান করতে হবে। অন্য কাউকে নয়। বর্তমান প্রবন্ধটি গল্প আকারে সাজানো যেখানে একজন কবরপূজারীদের বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন, আর অন্য ব্যক্তি ছিলেন সহিহ আকিদার অনুসারী। যিনি সহিহ আকিদার অনুসারী তিনি ভ্রান্ত আকিদা বহনকারীর বিশ্বাসকে যৌক্তিকভাবে খণ্ডন করে শুদ্ধ করে দেন।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি প্রশংসনীয় ইজতেহাদ তথা গবেষণা সংক্রান্ত। শরিয়তে ইজতেহাদের অবস্থান, ইজতেহাদের ক্ষেত্র, সাহাবা ও সালাফদের যুগে ইজতেহাদের ধরন-ধারণ, ইজতেহাদকর্মে সালাফদের সতর্কতা ইত্যাদি বিষয় প্রবন্ধটির মূল প্রতিপাদ্য। হাদিসের প্রকারভেদ ও শরয়ি বিধান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে তার অবস্থান সম্পর্কেও উক্ত প্রবন্ধে আলোচনা এসেছে।
পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব ক্ষণস্থায়ী। পৃথিবী বক্ষে মানুষের জীবনপরিসর কেবলই ঈমান ও আমলের পরীক্ষার উদ্দেশে প্রদত্ত। মানুষকে তাই খুব হিসেবী হতে হবে সময় যাপনে। আকীদা ও আমলের যথার্থ অনুশীলনের মাধ্যমে জীবনকে করে তুলতে হবে অর্থবহ, আল্লাহর মাগফিরাত ও পরকালীন শাশ্বত জান্নাতের উপযোগী। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
প্রবন্ধটিতে গান-বাজনার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সবিস্তারে আলোকপাত করা হয়েছে। বর্তমান যুগের গান-বাজনায় যে ধরনের ফাহেশা, অশ্লীলতা, বেলেল্লাপনা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তা যে কোনো বিবেকবান মানুষকে উৎকণ্ঠিত করতে বাধ্য। গান-বাজনা নারীদের জন্য অধিক ফিতনার কারণ, এ বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।
হৃদয়সংলগ্ন আমলবিষয়ক আলোচনা সকলযুগেই আলেমগণের গুরুত্বের বিষয় ছিল। এ-ক্ষেত্রে বহু গ্রন্থ রয়েছে। হৃদয়সংলগ্ন আমল শ্রম ও বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে একজন মুসলমানের জন্য প্রয়োজনীয় এ-জাতীয় ৩০টি আমল বর্ণনা করা হয়েছে।
যেসব বিষয়ের প্রতি একজন মুসলিমকে অধিক মনযোগী হতে হয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো আত্মগঠন। একজন মুসলিম কীভাবে নিজেকে একজন পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন করে গড়ে তুলবে এ প্রবন্ধে লেখক তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মগঠনের গুরুত্ব ও এ পথে সহায়ক পদ্ধতিগুলোও এতে স্থান পেয়েছে।